চট্টগ্রামে করোনা পরীক্ষায় ৮ জন, ‘সংক্রমণ মুক্ত’ সকলেই

মারা যাওয়া বৃদ্ধারও সংক্রমণ মেলেনি

চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) বুধবার (১ এপ্রিল) আরও ৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। ৮ জনের কারও মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিআইটিআইডি।

এর মধ্যে মঙ্গলবার (৩১ মার্চ) রাতে করোনার উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা বৃদ্ধা এবং হাটহাজারী থেকে আইসোলেশনে পাঠানো দুই নারীও রয়েছেন। এই তিনজনের কারোর মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিআইটিআইডি।

এছাড়া বুধবার নতুন করে আরও ৮ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করা কিশোর ও তার বাবার নমুনাও রয়েছে। সংগৃহীত এই ৮টি নমুনার মধ্যে ওই কিশোরের নমুনা রাত ১০টার মধ্যেই পরীক্ষা করে ফেলা হবে বলে জানিয়েছেন বিআইটিআইডির ল্যাবপ্রধান ডা. শাকিল আহমেদ। বাকিগুলো যথারীতি কাল পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।

ডা. শাকিল চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘বুধবার আমরা আরও ৮টি পরীক্ষা করেছি। গতকাল হাটহাজারী থেকে যে দুজন নারী বিআইটিআইডিতে এসেছেন এবং দক্ষিণ চট্টগ্রামের যে বৃদ্ধা মারা গেছেন তারাও এই ৮ জনের মধ্যে ছিলেন। এদের তিনজনের কারোর মধ্যে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি।’

সবমিলিয়ে গত ৭ দিনে চট্টগ্রামে মোট ৪১ জনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষা হলো। যাদের কারোর মধ্যে করোনার সংক্রামন পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছে বিআইটিআইডি।

প্রসঙ্গত গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিআইটিআইডিতে ৫৫ বছর বয়সী এক নারী মৃত্যুবরণ করেন। করোনার উপসর্গ নিয়েই সেখানে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। একই দিন দুপুরে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা থেকে ১৬ বছরের এক তরুণী বিআইটিআইডিতে আসেন। জ্বর ও সর্দি ছিল তার। পরে তার আরেক আত্মীয়ও একই উপসর্গ নিয়ে ওই হাসপাতালে যান। জানা গেছে, কয়েকদিন আগে সৌদি আরব থেকে তাদের দুই প্রবাসী আত্মীয় বাড়িতে এসেছেন। যাদের সংস্পর্শে এসেছিলেন ওই দুই নারী। অন্যদিকে বুধবার সকালে জেনারেল হাসপাতালে এক কিশোর মৃত্যুবরণ করে। পিতার সাথে কক্সাবাজার থেকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে চিকিৎসা করাতে এসেছিল ওই কিশোর। সকালে মারা যাওয়া ওই কিশোরের পিতাকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!