ক্রমশ আরও ভয়ংকররূপ ধারণ করছে চট্টগ্রামের করোনা পরিস্থিতি। রোববার (১০ মে) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবের ৯৭ জনের নমুনা থেকে পজিটিভ ফল আসলো ৫৩ জনের। এর মধ্যে ৩৫ জনই চট্টগ্রাম জেলার। শনাক্ত হওয়া এই ৩৫ জনের মধ্যে মসজিদের ইমামও রয়েছেন একজন। এছাড়া বাকি ১৮ জন হচ্ছেন অন্যান্য জেলার।
সিভাসু ল্যাবে শনিবার পরীক্ষা করা ৯৭ জনের নমুনার ফলাফল রোববার সকালে জানিয়েছেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী। তিনি জানান, চট্টগ্রাম জেলায় শনাক্ত হওয়া ৩৫ জনের মধ্যে লোহাগাড়া উপজেলার ১৪ জন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১০ জন, সন্দ্বীপ উপজেলার ৭ জন, রাউজান উপজেলার ১ জন, বাঁশখালী উপজেলার ১ জন ও মহানগর এলাকার ২ জন রোগী রয়েছেন।
সন্দ্বীপে শনাক্ত হওয়া ৭ জনের একজন পুরানো রোগী, দ্বিতীয় টেস্টেও তার করোনা পজিটিভ এসেছে। বাকি ৬ জনের সকলেই প্রথমজনের সংষ্পর্শে এসেছিল বলে জানা গেছে। এর মধ্যে স্থানীয় মসজিদের ইমাম, প্রথম রোগীর বাড়ির পাশের একটি ফার্মেসির মালিক ও কর্মচারীও রয়েছে। সন্দ্বীপে শনাক্ত হওয়া প্রথম করোনা রোগীর বাড়ির পাশের যে মসজিদে নামাজ আদায় করতেন তিনি ওই মসজিদের ইমাম বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এছাড়া বাকি ১৮ জনের মধ্যে নোয়াখালী জেলার ৮ জন, ফেনী জেলার ৭ জন ও লক্ষ্মীপুর জেলার ৩ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন।
আক্রান্ত শনাক্তের মোট সংখ্যা দাঁড়ালো ২৫৩ জনে। সিভিল সার্জন কার্যালয়ের দেয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী করোনায় আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন মোট ৬৪ জন।
এআরটি/এসএইচ