চট্টগ্রামে করোনা ছুঁয়ে গেল ৬০ হাজার মানুষকে, না ফেরার দেশে ৭১১ জন

0

কয়েকদিন বিধ্বংসী অবস্থায় থাকার পর চট্টগ্রামের করোনা কিছুটা ‘দূর্বল’ হয়েছে। এদিন শনাক্তের পাশাপাশি কমেছে মৃত্যুর সংখ্যাও। চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা নেমে এসেছে ২৬২ জনে। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে নগরের ১৯৭ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৬৫ জন রয়েছেন। এ সময়ে করোনায় উপজেলার একজনের মৃত্যু হয়েছে। তবে শনাক্তের হার ২৫ শতাংশ। আগের দিন এই হার ছিল ৩৪ শতাংশেরও বেশি।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা ছুঁয়ে গেল ৬০ হাজার মানুষকে। মোট আক্রান্ত ৫৯ হাজার ৯৯৯ জন শনাক্তের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর ৪৬ হাজার ৭৪৪ জন। আর বিভিন্ন উপজেলার ১৩ হাজার ২৫৫ জন। এদের মধ্যে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ৭১১ জন। এদের মধ্যে ৪৭৯ জন চট্টগ্রাম নগরের। আর বিভিন্ন উপজেলায় মারা গেছেন ২৩২ জন।

শনিবার (৩ জুলাই) চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, চট্টগ্রামের ৮টি ল্যাবে ১ হাজার ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

s alam president – mobile

এর মধ্যে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে ১৪ জনের দেহে করোনার জীবাণু পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ১১ জন নগরের এবং ৩ জন উপজেলার বাসিন্দা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) ল্যাবে ৪৮৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এতে করোনার উপস্থিতি মিলে দিনের সর্বোচ্চ ৯১ জনের দেহে। এদের মধ্যে নগরের ৬৭ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ২৪ জন।

চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ১১৩টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনকে করোনার জীবাণু বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে নগরেই ৩২ জন। বাকি ৩ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

Yakub Group

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু) ল্যাবে ১৪৫টি নমুনা পরীক্ষা করে ৪১ জনের করোনাভাইরাস পাওয়া গেছে। যাদের মধ্যে ১৮ জন নগরের ও ২৩ জন উপজেলার রোগী।

নগরীর বেসরকারি করোনা পরীক্ষাগারের মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাব ৮০টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩৭ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। এদের ৩৬ জনই নগরের, বাকি ১ জন উপজেলার। শেভরণ ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে ১৫৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ৩২ জন করোনা পজিটিভ রোগীর খোঁজ মিলে। যাদের ২৬ জন নগরের এবং ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতাল ল্যাবে ২০টি নমুনা পরীক্ষা করে ১১ জন করোনা রোগীর হদিস পাওয়া যায়। যাদের মধ্যে ৭ জন নগরের ও ৪ জন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল সেন্টার ল্যাবে ৭টি নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ১ জনের করোনা পজিটিভ পাওয়া যায়। ১৫ জন এবং ৩৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের শরীরের করোনা পজেটিভ পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরি (আরটিআরএল), এপিক হেলথ কেয়ার ল্যাব, কক্সবাজার মেডিক্যাল কলেজ ল্যাবে কোনো নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি। এছাড়া এন্টিজেন টেস্টেও এদিন কারও নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

উপজেলায় করোনা আক্রান্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি শনাক্ত রোগী পাওয়া যায় মিরসরাইয়ে। সেখানে ১৮ জনের দেহে ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায়। এছাড়া সীতাকুণ্ডে ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১২ জন, হাটহাজারীতে ৭ জন, ফটিকছড়িতে ৫ জন, রাউজানে ৩ জন, আনোয়ারা ও পটিয়ায় ২ জন করে এবং লোহাগাড়া, সাতকানিয়া ও চন্দনাইশে ১ জন করে করোনা পজিটিভ রোগীর হদিস মিলে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!