চট্টগ্রামে করোনায় মৃত্যুহীন দিনে সুস্থও হননি কেউ, নতুনভাবে শনাক্ত ১৫৯

করোনায় আবারও মৃত্যুহীন দিন দেখলো চট্টগ্রাম। এর আগে গত ১৩ ও ১৪ জুলাই পরপর দুদিন চট্টগ্রামে করোনায় কনো প্রাণহানি হয়নি। একই সময়ে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে মুক্তও হননি কেউ। তবে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১৫৯ জন। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনা শনাক্ত এখন ১২ হাজার ৪৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে ৮ হাজার ৭২০ জন নগরের ও ৩ হাজার ৭৬৯ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। অন্যদিকে এদিন করোনায় আর কোন মৃত্যু না হওয়ায় সংখ্যা আগেরমতো ২২০ জনে স্থির আছে, যাদের ১৫৬ জন নগরের ও ৬৪ জন উপজেলার বাসিন্দা। এবং সুস্থতার সংখ্যাও ১৪৮৭ জনে থেমে আছে।

শুক্রবার (১৭ জুলাই) সকালে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি এসব তথ্য জানান।

তিনি জানান, চট্টগ্রামের সরকারি চারটি ও বেসরকারি দুটি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবে মিলিয়ে ৯৫০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৯ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তদের মধ্যে নগরের ১০৮ জন এবং বিভিন্ন উপজেলার ৫১ জন। একইসাথে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনায় কেউ মারা যাননি এবং কেউ সুস্থও হননি।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের প্রধান করোনা পরীক্ষাগার ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি)-তে মাত্র ৫৮ জনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয় ১২ জন। এর মধ্যে মাত্র ৫ জন নগরের। বাকি ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে ১৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ২৪ ঘণ্টায় দিনের দ্বিতীয় সর্বাধিক ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে দিনের সর্বোচ্চ ৪৪ জনের শরীরে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়, যাদের ৩৯ জন নগরের ও ৫ জন উপজেলার।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে আগেরদিনের চেয়ে কিছুটা বেশি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। মোট ১৮১ জনের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হন ৪০ জন। যাদের ১৮ জন নগরের ও ২২ জন বিভিন্ন উপজেলার।

অন্যদিকে, বেসরকারি ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে দিনের সর্বোচ্চ ২২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ১৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়। যাদের ১৩ জন নগরের, বাকি ৬ জন বিভিন্ন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরণ ল্যাবে ১৩৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৫ জনের দেহে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া যায়। যাদের ২৮ জন নগরের ও ৭ জন বিভিন্ন উপজেলার।

এদিন, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে ১৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় উপজেলার ৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়।

উপজেলা পর্যায়ে নতুনভাবে করোনা শনাক্ত ৫১ জনের মধ্যে হাটাহাজারী উপজেলায় সর্বাধিক রোগী শনাক্ত হয়েছে। সেখানে ১৭ জন করে শনাক্ত হয়। এছাড়া পটিয়ায় ৮ জন, রাউজান ও ফটিকছড়িতে ৫ জন করে, লোহাগাড়ায় ৪ জন, মিরসরাই ও সীতাকুণ্ডে ৩ জন করে, সাতকানিয়া ও সন্দ্বীপে ২ জন করে এবং আনোয়ারা ও বোয়ালখালীতে ১ জন করে করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!