চট্টগ্রামে করোনার জিনবিন্যাস উন্মোচনকারী গবেষকদের সম্মান জানালো চবি

চট্টগ্রাম বিভাগের প্রতিটি জেলার করোনাভাইরাসের জিনের বিন্যাস উন্মোচন (জিনোম সিকোয়েন্সিং) করা গবেষক দলকে সংবর্ধনা দিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে তাদের এই সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পরে তাদের সম্মানে একটি কেক কাটা হয়।

গবেষণায় পাওয়া তথ্যমতে, চট্টগ্রাম বিভাগের ভাইরাসটির সাথে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, সৌদি আরব, তাইওয়ান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার ভাইরাসের প্রায় হুবহু মিল রয়েছে। তবে একেক জেলার সঙ্গে অন্য জেলায় করোনার ধরনে বেশ কিছুটা কিছুটা ভিন্নতা আছে।

সংবর্ধনা পাওয়া গবেষকরা হলেন— বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভূঁইয়া, উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক রাসেল এবং মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. ইমরানুল হক ও ড. এইচ এম আবদুল্লাহ আল মাসুদ এবং তাদের কাজে সহযোগিতা করা শিক্ষার্থীবৃন্দ।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন, ‘চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় হল জ্ঞান-গবেষণার উন্মুক্ত চারণভূমি। এ চারণভূমিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় অদম্য গতিতে এগিয়ে চলছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে এবং এ বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশের শীর্ষস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলকে আরও আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক এসএম মনিরুল হাসানের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন চবি সিনেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. দানেশ মিয়া, ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. রাশেদ মোস্তফা, জীববিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল হোসাইন, সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মাইনুল হাসান চৌধুরী প্রমুখসহ আরও অনেকে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি চট্টগ্রাম বিভাগের ১১ টি জেলার করোনাভাইরাসের জিনের বিন্যাস উন্মোচন (জিনোম সিকোয়েন্সিং) করেছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এই গবেষক দল। বিভাগের প্রতিটি জেলার প্রতিটি উপজেলা ও থানায় ঘুরে ঘুরে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে নিজস্ব ল্যাবে তা পরীক্ষা করে গবেষকদলটি।

করোনার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিচালিত গবেষণায় দেখা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগরীসহ জেলায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, ইটালি, চেক রিপাবলিক, সৌদিআরব ও তাইওয়ানের করোনাভাইরাসের মিল খুঁজে পাওয়া গেছে। অন্যদিকে কক্সবাজার, রাঙামাটি ও বান্দরবানের করোনার সঙ্গে মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, সিয়েরা লিওন, জার্মানি, ইটালি, তাইওয়ান ও চেক রিপাবলিকের ধরন। তবে খাগড়াছড়িতে বেশি সাদৃশ্য লক্ষ্য করা গেছে অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব ও তাইওয়ানের নমুনার সঙ্গে।

এছাড়া নোয়াখালী, লক্ষীপুর ও ফেনী জেলার করোনার সঙ্গে মিলেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও জাপানের ধরন। কুমিল্লা ও চাঁদপুর জেলায় মিল খুঁজে পাওয়া গেছে যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, চেক রিপাবলিক, ভারত ও জাপানের সঙ্গে। ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়ায় যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, সৌদি আরব ও ভারতের করোনার ধরনের সঙ্গে সাদৃশ্য দেখা গেছে।

এমআইটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!