চট্টগ্রামে করোনাকালের চতুর্থ ঈদ পালিত হচ্ছে ভিন্ন আবহে

প্রধান জামাত হল জমিয়তুল ফালাহ মসজিদে

করোনা মহামারির মধ্যেই বুধবার (২১ জুলাই) চট্টগ্রামে উদ্‌যাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। মহামারি ক্রমাগত বাড়তে থাকায় এবারের ঈদও উদ্‌যাপন করা হচ্ছে অনেকটাই ভিন্নভাবে। করোনা মহামারির মধ্যে এবার নিয়ে চতুর্থ ঈদ উদযাপিত হতে যাচ্ছে।

গত তিন ঈদের মতো এবারও উন্মুক্ত স্থানে ঈদুল ফিতরের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হয়নি। যদিও চট্টগ্রাম মহানগরীর বাইরে কিছু কিছু এলাকায় মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ পড়েছেন মুসল্লিরা। তবে বেশিরভাগ মুসল্লিই ঈদের নামাজ পড়েছেন মসজিদে। করোনার সংক্রমণ এড়াতে ঈদের নামাজ আদায় করার পর প্রায় সবাই কোলাকুলি বা হাত মেলানো থেকে বিরত ছিলেন।

ঈদুল আজহা আমাদের দেশে সাধারণত ‘কোরবানির ঈদ’ নামেই পরিচিত। জিলহজ মাসের ১০ তারিখে মহান আল্লাহর উদ্দেশে পশু কোরবানির মধ্য দিয়ে এই ঈদ উদ্‌যাপিত হচ্ছে। তবে ঈদের পরের দুই দিন অর্থাৎ ১১ ও ১২ জিলহজেও কোরবানি দেওয়ার বিধান রয়েছে।

ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হল জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। ছবি: জাহাঙ্গীর লুসাই
ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হল জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। ছবি: জাহাঙ্গীর লুসাই

বুধবার (২১ জুলাই) চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে নগরীতে বরাবরের মতোই ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয় জমিয়তুল ফালাহ জাতীয় মসজিদে। এই মসজিদে সকাল ৭টায় প্রথম জামাত এবং সকাল ৮টায় দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

একইভাবে নগরীর আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদেও সকাল ৭টা ও ৮টায় দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। লালদীঘি জামে মসজিদেও প্রথম ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে এবং দ্বিতীয় জামাত অনুষ্ঠিত হয় সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে।

এছাড়া চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ৪১টি ওয়ার্ডেও সকালে ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হয়।

আজ ঈদের দিন চলাফেরায় কোনো বিধি-নিষেধ থাকছে না। বাইরে বের হতে মানা নেই বৃহস্পতিবারও।

জেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের হিসাব অনুযায়ী, এবারের ঈদুল আজহায় শুধু চট্টগ্রাম নগরীতেই প্রায় ৮ লাখ ৯ হাজার পশু জবাই করা হবে। ঈদের দিন যত্রতত্র পশু জবাই ও ময়লা ফেলা রোধ করতে মাঠে থাকছে জেলা প্রসাশন ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেটরা।

ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি তাঁর বাণীতে সরকার নির্ধারিত স্থানে কোরবানি করে এবং কোরবানির বর্জ্য যথাস্থানে ফেলে পরিবেশদূষণ বন্ধে সবাই সচেষ্ট থাকবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর বাণীতে ঈদুল আজহার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করে নিজ নিজ অবস্থান থেকে জনকল্যাণমূলক কাজে অংশ নিয়ে বৈষম্যহীন, সুখী, সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ বাংলাদেশ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!