চট্টগ্রামে এবার খালের পাশে বেড়া টেনে দায় সারতে চায় চসিক

অবশেষে ঘুম ভেঙেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক)। খাল ও নালায় পড়ে দুই মাসে চট্টগ্রাম নগরীতে তিনজনের মৃত্যুর পর এবার নড়েচড়ে বসেছে চসিক। নগরীর উন্মুক্ত নালাগুলোয় স্ল্যাব বসানোর পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি একইসঙ্গে খালের পাড়ে বেড়া দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বলে জানান চসিক মেয়র।

শুক্রবার (২৭ জুলাই) চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী একটি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীর যেসব স্থানে খাল এবং নালা অরক্ষিত রয়েছে সেগুলোয় আর যাতে কোনো অঘটন না ঘটে সে জন্য বিশেষ উদ্যোগ নিতে যাচ্ছি। অরক্ষিত নালায় স্ল্যাব এবং খালে বেষ্টনী দেওয়া হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নালায় স্ল্যাব বসানোর উদ্যোগ আরও আগেই নিয়েছি। কারণ হচ্ছে উপরে স্ল্যাব না থাকলে গৃহস্থালি বর্জ্য , পলিথিনসহ বিভিন্ন ময়লা আবর্জনা নালার পড়ে পানি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দেখা যায় পরিষ্কার করার কিছুদিন পরে নালা আবার আগের অবস্থায় ফিরে গেছে। তাই চট্টগ্রাম নগরীর যেসব নালার পাশে দোকান -বাড়িঘর আছে সেগুলোয় স্ল্যাব বসিয়ে দেবো। এছাড়া জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোয় দ্রুতই স্ল্যাব দেওয়া হবে। এতে আর কোনো দুর্ঘটনা ঘটবে না। যেসব নালায় স্ল্যাব দেওয়া যায় সবগুলোতেই স্ল্যাব দেওয়া হবে।’

মেয়র বলেন, ‘চট্টগ্রাম নগরীতে খালগুলোর পাশে নিরাপত্তা বেষ্টনী বা ফেন্সিং করা হবে। যেসব স্থানে বেষ্টনী দেওয়া দরকার, সেগুলোতে বেষ্টনী দেওয়া হবে। জনসমাগম হয় এমন স্থানগুলোয় খালের পাড়েও বেড়া দেওয়া হবে। সব খালে তো বেড়া দেওয়া সম্ভব নয়। যেগুলোয় সম্ভব হবে সেখানে বেড়া দেওয়া হবে।’

বুধবার (২৫ আগস্ট) পানিতে তলিয়ে নিখোঁজ ছালেহ আহমদের বাসায় সমবেদনা জানাতে গিয়েছিলেন শুক্রবার সকালে। সেখানে তিনি জানান, ‘যে স্থানটিতে দুর্ঘটনা ঘটেছে সেখানে জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ চলছে। এগুলো এখন চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের অধীনে রয়েছে।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের তথ্য মতে, চট্টগ্রাম নগরে প্রায় ৯৪৬ কিলোমিটার নালা রয়েছে। তবে নালার উপর কতটি স্ল্যাব রয়েছে তার তথ্য নেই ।

উল্লেখ, গত বুধবার (২৫ আগস্ট) চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর মোড়ের পাশের খালে পড়ে এক পথচারী পানিতে তলিয়ে যান। এখনও তার সন্ধান পাওয়া যায়নি। এর আগে ৩০ জুন চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর এলাকার চশমা খালে সিএনজিচালিত অটোরিকশা উল্টে দুইজনের মৃত্যু হয়েছিল। দুইটি ঘটনার দিনই চট্টগ্রামে বৃষ্টি হয়ে জলাবদ্ধতায় খাল-নালা ছিল পানিতে একাকার।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!