চট্টগ্রামে এতিমখানার জাহাজ কেটে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা, শিপইয়ার্ড মালিক শুনানিতে যাননি

এখন থেকে ২৯ বছর আগে, সেই ১৯৯৩ সালে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের ভাটিয়ারীর সাগর উপকূলে এসে আটকে যায় ‘রয়েল বাড’ নামে এক জাহাজ। ঢাকার কোনো এক শিল্পপতি জাহাজটি আগেই দান করেছিলেন এক এতিমখানার নামে। যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আটকে যাওয়া জাহাজটি সেই থেকে আটকে আছে ভাটিয়ারীর সাগর উপকূলে।

এভাবে পড়ে থাকতে দেখে জাহাজটির ওপর চোখ পড়ে সীতাকুণ্ডের প্রভাবশালী একটি চক্রের। ওই চক্রটি ‘রয়েল বাড’ নামের জাহাজটি কেটে বিক্রি করে দিচ্ছিল বাইরে।

প্রভাবশালী ওই চক্রটি জাহাজটি কিনে নিয়েছে বলে প্রচার করলেও স্থানীয় এলাকাবাসী বলছেন, কিনে নেওয়ার বৈধ কোনো কাগজপত্রও নেই তাদের কাছে। প্রভাবশালী ওই চক্রে আছে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের একটি সংঘবদ্ধ দল।

এদিকে ‘ভাটিয়ারী শিপ ব্রেকিং ইয়ার্ড’ নামের একটি শিপইয়ার্ডে জাহাজটি কাটা হলেও সেই ইয়ার্ডের লাইসেন্সই নবায়ন করা নেই।

এমন সব ঘটনার কথা জেনে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের কর্মকর্তারা জাহাজ কাটার শিপইয়ার্ডে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পান।

এরপর বুধবার (২ মার্চ) এতিমখানার নামে দান করা সেই জাহাজটির মালিকানা দাবি করে অননুমোদিত উপায়ে কাটার কারণে গিয়াস উদ্দিন, মাহবুব ও কামাল মেম্বার নামে তিন ব্যক্তিকে ২৩ লাখ টাকা জরিমানা করে পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল। পরিবেশ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চল কার্যালয়ে শুনানি শেষে এই আদেশ দেন পরিচালক মফিদুল ইসলাম।

এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের নোটিশ পেয়েও ভাটিয়ারী শিপব্রেকিং ইয়ার্ডের মালিক শুনানিতে হাজির হননি। পরিবেশ অধিদপ্তর জানিয়েছে, ভাটিয়ারী শিপব্রেকিং ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষকে আবার নোটিশ দেওয়া হবে। এরপরও তারা হাজির না হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm