চট্টগ্রামে একদিনে আবার হাজারের ওপরে শনাক্ত করোনারোগী, মৃত্যু ১০

ঈদের পর থেকে চট্টগ্রামে আবারও বাড়তে থাকা করোনা শনাক্ত এবার ছাড়িয়ে গেল হাজারের ওপর। আগেরদিন ৯৮৫ শনাক্ত হলেও তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২৭৩ জনে। যাদের মধ্যে নগরের ৮৩৫ জন এবং উপজেলা পর্যায়ের ৪৩৮ জন। পর পর দুদিন ১১ মৃত্যুর পর এদিন করোনা কেড়ে নিয়েছে আরও ১০ জনের জনের প্রাণ। এদের মধ্যে ৪ জন মহানগরের এবং ৬ জন উপজেলার বাসিন্দা।

এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৮৫ হাজার ১৪৪ জন। এর মধ্যে নগরে ৬৩ হাজার ৬১৫ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২১ হাজার ৫২৯ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতোমধ্যে ৯৯৪ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে নগরের ৫৯১ এবং উপজেলার বাসিন্দা ৪০৩ জন।

সোমবার (২ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এ তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি বলেন, এদিন চট্টগ্রামের ৭টি ও কক্সবাজারের ১টি ল্যাবে ২ হাজার ৭৮৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ৯৮৫ জনের।

ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে জানা যায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৪৫৪ জনের নমুনা পরীক্ষায় ২৩৮ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ১১৬ জন নগরের এবং ১২২ জন উপজেলার বাসিন্দা। ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস ল্যাবে (বিআইটিআইডি) ৭৭৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তাতে ২২৬ জনের নমুনায় করোনা পজিটিভ আসে। তাদের মধ্যে ১৩৭ জন নগরের বাসিন্দা এবং ৮৯ জন বিভিন্ন উপজেলার। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ল্যাবে ৫৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষায় নগরের ১৬২ জন ও উপজেলার ৩১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত করা হয়। এছাড়া, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ইউনিভার্সিটি (সিভাসু) ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩২ জনের নমুনা পরীক্ষায় ১০৫ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া যায়। যাদের মধ্যে ৪৮ জন নগরের এবং ৫৭ জন উপজেলার অধিবাসী।
অন্যদিকে, এদিন চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাবে ৮১৩ জনের এন্টিজেন টেস্ট করানো হয়। এর মধ্যে ২৩০ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। যাদের মধ্যে ১২০ জন নগরের এবং ১১০ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার।

কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ ল্যাবে চট্টগ্রামের ২৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে উপজেলার ৬ জনের নমুনায় করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে।

চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের রিজিওনাল টিবি রেফারেল ল্যাবরেটরিতে (আরটিআরএল) ৪৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৫ জনের দেহে ভাইরাসটির উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে নগরীর ২২ জন ও উপজেলার ৩ জন।

নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইম্পেরিয়াল হাসপাতাল ল্যাবে ১৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় ৬৯ জনকে করোনার জীবাণু বাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। এদের মধ্যে ৬৫ জন নগরের এবং ৪ জন বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৭৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ৩৫ জনের ও উপজেলার ৩ জনের শরীরে করোনার জীবাণু পাওয়া যায়। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতাল ল্যাবে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নগরের ২২ জন ও উপজেলার ১ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়। ইপিক হেলথ কেয়ার ল্যাবে ২২৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ১২০ জনের দেহে করোনার বিষ পাওয়া গেছে। যাদের ১০৮ জনই নগরের, বাকি ১২ জন উপজেলার।

গত ২৪ ঘণ্টায় শেভরন ক্লিনিক্যাল ল্যাবরেটরিতে কোন নমুনা পরীক্ষা করা হয়নি।

সিভিল সার্জন আরও জানান উপজেলা পর্যায়ে শনাক্তদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রোগীর খোঁজ মিলে হাটহাজারীতে। সেখানে করোনা শনাক্ত হয় ৯৬ জন। এছাড়া, ফটিকছড়ি ও বোয়ালখালীতে ৫৯ জন করে, রাঙ্গুনিয়ায় ৪০ জন, রাউজানে ৩০ জন, আনোয়ারা ও সন্দ্বীপে ২৫ জন করে, বাঁশখালী ও সীতাকুণ্ডে ২৩ জন করে, লোহাগাড়া ও মিরসরাইয়ে ১৭ জন করে, সাতকানিয়ায় ১০ জন, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় ৭ জন করে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!