বাংলাদেশ লেবার ফেডারেশন (বিএলএফ) চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকাল ৩টায় চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার নাসিরাবাদ ওমরগণি প্লাজায় সংগঠনের নিজস্ব কার্যালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহার আগে বকেয়া বেতন ও ঈদ বোনাস প্রদান, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি সমন্বয়, শ্রমিক বৈষম্য দূর করা, নিয়োগপত্র প্রদান, শ্রমিক রেশন কার্ড চালু এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির সভাপতি নুরুল আবছার তৌহিদের সভাপতিত্বে এবং যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. আলমগীর হোসেনের সঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএলএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক, শ্রমিক নেতা সৈয়দ রবিউল হক শিমুল।
বিশেষ অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মো. সেলিম মিয়া, জেলা মহিলা বিএলএফ’র সভানেত্রী গুলজার বেগম, রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক বিএলএফ নেতা ওমর ফারুক।
প্রধান অতিথি সৈয়দ রবিউল হক শিমুল বলেন, ‘বন্দর নগরী চট্টগ্রামের অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানে শ্রমিককে ঈদ-উল-আযহার আগে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়। বাংলাদেশের শ্রম পরিস্থিতির উন্নয়নে সরকার সম্প্রতি শ্রম আইন সংশোধন করলেও আইনের বিধানাবলী সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। শুধু তাই নয় এর বাস্তবায়নে সরকারের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট সবাইকে একযোগে কাজ করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এখনো দেখি বিনা নোটিশে আমাদের শ্রমিকদের চাকরিচ্যুত করা হচ্ছে। বিভিন্ন সময়ে নানা অজুহাতে শ্রমিকদের হামলা-মামলা দিয়ে হয়রানি করা হয়। এই অবস্থায় চলতে থাকলে সরকার যে উদ্দেশ্যে শ্রম আইন সংশোধন করেছে, তা বাস্তবায়ন হবে না। এতে করে শ্রম বাজারে অস্থিরতা লেগেই থাকবে। তাই মালিক পক্ষ থেকে শুরু করে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে শ্রম আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সঠিক তদারকি প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।’
প্রতিবাদ সভায় বিশেষ অতিথি মো. সেলিম মিয়া বলেন, ‘ঈদ-উল-আযহার আগে সকল শ্রেণীর শ্রমজীবীদের বেতন ও বোনাস প্রদান এবং অত্যাবশ্যকীয় পরিষেবা বিল প্রত্যাহার করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, মো. আনোয়ার হোসেন বিএলএফ চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি দাবি করে সংগঠনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে যাচ্ছে। মো. আনোয়ার হোসেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএলএফ’র কেউ নয়। তার ব্যক্তিগত অপকর্মের দায়ভার চট্টগ্রাম মহানগর বিএলএফ বহন করবে না। আজ এই প্রতিবাদ সভা থেকে বিএলএফ নেতৃবৃন্দ তাকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে।’
প্রতিবাদ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএলএফ চট্টগ্রাম জেলা কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক সামসুল ইসলাম আরজু, মহানগর কমিটির যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম শাহীন, বিভাগীয় যুব কমিটির সভাপতি মো. আমির হোসেন, নগর যুব কমিটির সভাপতি জাবেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর, জেলা যুব কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ, আকবর শাহ থানা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, সুমন, বায়েজিদ বোস্তামী থানা কমিটির নেতা মো. জসিম উদ্দিন, রনি ও জিয়া উদ্দিন রানা।