চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ হারে আরও ৫৭৪ জনের শরীরে করোনার জীবাণু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে মহানগরে ৪৩৩ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ১৪১ জন। এই সময়ে করোনায় আক্রান্ত কারো মৃত্যু হয়নি।
এ নিয়ে চট্টগ্রামের মোট আক্রান্ত বেড়ে গিয়ে দাঁড়াল ১ লাখ ২২ হাজার ৬৮৫ জন। এর মধ্যে নগরে ৮৯ হাজার ৩৭৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ৩৩ হাজার ৩০৭ জন। শনাক্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ হাজার ৩৫৯ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৭৩৪ এবং উপজেলায় ৬২৫ জন।
শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) মধ্য রাতে চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. ইলিয়াস চৌধুরী।
তিনি জানান, গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামের বিভিন্ন ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাবে ২ হাজার ৮৫১ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় করোনা শনাক্ত হয়েছে ৫৭৪ জনের।
ল্যাবভিত্তিক ফলাফলে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ১২০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। বিআইটিআইডিতে ৬৩৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩১ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১৯১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে ৪৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। শেভরনে ৫৬২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ২৭৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ২৬৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং এপিক হেলথকেয়ারে ১৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৩৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিন কক্সবাজার মেডিকেল কলেজ, এন্টিজেন টেস্ট, আরটিআরএল, ল্যাব এইড, মেট্রোপলিটন হাসপাতাল, এশিয়ান স্পেশালাইড হাসপাতাল এবং শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নমুনা পরীক্ষা হয়নি।
উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ১৪১ জনের মধ্যে ফটিকছড়িতে সর্বাধিক ২০ জন রয়েছেন। এছাড়া, হাটহাজারীতে ১৬ জন, মিরসরাইয়ে ১৩ জন, রাঙ্গুনিয়ায় ১০ জন, সাতকানিয়া, বোয়ালখালী ও রাউজানে ১১ জন করে, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ ও সীতাকুণ্ডে ৯ জন করে, বাঁশখালী ও আনোয়ারায় ৭ জন করে, পটিয়ায় ৬ জন সন্দ্বীপে ২ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এমএহক