চট্টগ্রামে আবাহনী মোহামেডান মুক্তিযোদ্ধায় র্যাব, মিলেছে জুয়ার সরঞ্জাম
চট্টগ্রামের তিন ক্লাবের জুয়ার আস্তানায় র্যাব ৭ এর একাধিক টিম ভাগ হয়ে অভিযান চালালো শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায়। ঢাকায় জুয়ার আস্তানায় অভিযানে সরকারদলীয় নেতাদের গ্রেপ্তারের পর আলোচনার মধ্যেই এবার চট্টগ্রামেও এ অভিযানে নামে র্যাব। ওই তিন ক্লাবে প্রবেশ করার পর তাসসহ জুয়ার সরঞ্জাম পেয়েছে র্যাব। অভিযান এখনও চলছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৫টার পর থেকে একযোগে র্যাব ৭ এর একাধিক টিম ভাগ হয়ে নগরীর হালিশহর থানার আবাহনী ক্লাব, সদরঘাট থানার মোহামেডান ক্লাব ও মুক্তিযোদ্ধা ক্রীড়া সংসদে অভিযান চালায়। তবে এই তিন ক্লাবই আগে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছে র্যাব। যদি র্যাবের ডাকে ক্লাব কর্তৃপক্ষ সাড়া না দেয়, তাহলে তালা ভেঙে সেখানে তল্লাশি করার কথা থাকলেও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ক্লাবের কেয়ারটেকাররা এসে তালা খুলে দিলে র্যাব ভেতরে প্রবেশ করে।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে র্যাব ৭ এর অপারেশন অফিসার এএসপি মাশকুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘আমরা জুয়ার আসরবিরোধী অভিযানে আছি। এখন তালা মারা থাকায় আমরা প্রবেশ করতে পারছি না। ক্লাব পরিচালনাকারীদের ডেকে পাঠানো হয়েছে। তারা যদি সাড়া না দেন, আমরা তালা ভেঙে প্রবেশ করে তল্লাশি করব।’
পরে তিনি জানান, ক্লাবে প্রবেশ করার পর সেখানে তাসসহ জুয়ার সরঞ্জাম পাওয়া গেছে। এ সংক্রান্ত নথিপত্রও মিলেছে অভিযানে। অভিযান এখনও অব্যাহত থাকায় বিস্তারিত জানা যায়নি।
তবে এর আগে সদরঘাট ও হালিশহর থানার ওসিরা দাবি করেছিলেন, তাদের এলাকায় কোনো জুয়ার আসর নেই।
এর আগে শুক্রবার রাতে নগরীর কোতোয়ালী থানার আলমাস সিনেমা হলের পাশে বিলিয়ার্ড খেলার ঘর ‘হ্যাংআউট’ এ অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় কোনও ধরনের অনুমোদন না থাকায় মালিকের ছেলে ও কর্মচারীকে আটক করে পুলিশ।
এর আগে বৃহস্পতিবার একযোগে নগরীর সব থানায় জুয়ার আসর বিরোধী অভিযানে নেমেছিল পুলিশ। তবে নগরীর কোতোয়ালী থানার পুলিশ প্লাজায় একটি ক্যাসিনো থাকলেও সেটি আগে থেকেই বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এরপরও অনুমোদিত যেসব বার ও ক্লাবে অবৈধভাবে জুয়ার আসর বসে সেখানে অভিযান চালানো হবে বলে জানা গেছে।
নগরীতে আবাহনী, মোহামেডান, মুক্তিযোদ্ধা ক্লাব, ওয়াজিউল্লাহ ইনস্টিটিউট, ফ্রেন্ডস ক্লাব, আকবর শাহ অবসরপ্রাপ্ত সৈনিক ক্লাবসহ বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে ওঠা সামাজিক ও রাজনৈতিক ক্লাবগুলোতেও জুয়ার আসর বসে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর আগেও কোতোয়ালী থানার পুলিশ প্লাজায় বসা জুয়ার আসর বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওসি মোহাম্মদ মহসীন।
অন্যদিকে বায়েজিদের অক্সিজেনে একটি ক্লাবে চলা জুয়ার আসরটিও বন্ধ করে দিয়েছিলেন ওসি আতাউর রহমান খন্দকার। তবে নগরীর আরও বেশ কয়েকটি স্থান, গোপন ফ্ল্যাট ও ক্লাবে জুয়ার আসর বসে বলে অভিযোগ পেয়েছে পুলিশ।
এডি/এইচটি/এসএস