চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে আবার বিক্ষোভ করেছেন চট্টগ্রামের শিক্ষার্থীরা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা প্রধান বিচারপতিসহ হাইকোর্ট ও সারাদেশে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে এই বিক্ষোভ করেন। এতে অনেক আইনজীবীও অংশ নেন। দুপুরে প্রধান বিচারপতি পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর সেনাবাহিনীর অনুরোধে আন্দোলনকারী বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতা সরে যায়।
শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রামের সহ-সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফি ফেসবুক লাইভে এসে শিক্ষার্থী-জনতাকে দ্রুত কোর্ট বিল্ডিংয়ে চলে আসার আহ্বান জানান।
বেলা ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত শিক্ষার্থীরা ছোট ছোট দলে এসে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রান্তে চট্টগ্রাম কোর্ট বিল্ডিংয়ের প্রধান ফটকে জড়ো হন। তাদের অনেকের হাতে ছিল জাতীয় পতাকা। এ সময় তারা প্রধান বিচারপতিসহ দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ পাওয়া বিচারকদের পদত্যাগের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেন।
এদিকে দুপুরের দিকে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান পদত্যাগ করার নীতিগত সিদ্ধান্তের কথা জানানোর পর সেনাবাহিনীর অনুরোধে আন্দোলনকারী বিক্ষোভকারী ছাত্র-জনতা কোর্ট বিল্ডিং থেকে সরে গিয়ে নিউমার্কেটের সামনে অবস্থান নেন।
এর আগে সকালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দেন। সেখানে তিনি বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতির পদত্যাগ ও ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করার দাবি জানান।
আসিফ মাহমুদ জানান, ‘ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট ও নানা অপকর্মে জড়িত সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সরকারের সঙ্গে কোনোরকম আলোচনা না করে ফুল কোর্ট সভা ডেকেছেন। পরাজিত শক্তির যেকোনো প্রকার ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। আইনজীবীরা ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন।’
তিনি আরও জানান, ‘আমরা আগেই প্রধান বিচারপতিকে পদত্যাগের আহ্বান জানিয়েছিলাম। ছাত্র-জনতার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে তাঁদের উসকানি দিলে এর ভয়াবহ পরিণাম ভোগ করতে হবে। অনতিবিলম্বে বিনা শর্তে প্রধান বিচারপতি পদ থেকে পদত্যাগ করুন এবং ফুল কোর্ট মিটিং বন্ধ করুন।’
সিপি