সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীকে আটক করে নৌবাহিনীর সদস্যরা তাকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসছেন।
শনিবার (১০ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ওছখালীর নিজ বাড়ি থেকে নোয়াখালী-৬ আসনের এই সাবেক সংসদ সদস্যকে আটক করা হয়। রোববার (১১ আগস্ট) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নৌবাহিনী হাতিয়া উপজেলার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মুশফিকুর রহমান।
সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী ছাড়াও তার স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও ছেলে হাতিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশিক আলী অমিকে নৌবাহিনীর হেফাজতে নেওয়া হলেও তাদের আটক করা হয়নি বলে জানা গেছে।
নৌবাহিনীর কমান্ডার মুশফিকুর রহমান বলেন, ‘হাতিয়া থানার কার্যক্রম না থাকায় মোহাম্মদ আলীকে আটক দেখিয়ে চট্টগ্রামে পাঠানো হচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার (৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার প্রধান সড়কে সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে হাতিয়া উপজেলা বিএনপি ও দলটির সহযোগী সংগঠনগুলো। গত কিছুদিন ধরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসুদ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মোহাম্মদ আলীর বিভিন্ন অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। তিনি অভিযোগ করেন, হাতিয়ার প্রায় সাত লাখ মানুষকে জিম্মি করে রেখেছিলেন মোহাম্মদ আলী। তার একক নিয়ন্ত্রণে হাতিয়া হয়ে ওঠে দুর্নীতি-অনিয়ম ও নৈরাজ্যের স্বর্গরাজ্য।
স্থানীয়দের অভিযোগ, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস ও তার স্বামী সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলীর কাছে অসহায় হয়ে পড়ে দ্বীপ জনপদ হাতিয়ার মানুষ। খাসজমি দখল, কথায় কথায় প্রতিপক্ষের ওপর হামলা-মামলা, অবৈধভাবে হাট ও ঘাট দখল বাণিজ্যসহ সর্বত্রই একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল এই পরিবারের। আর এসব ক্ষেত্রে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা ছাড়াও নিজ দলের নেতাকর্মীরাই ছিল তাদের মূল টার্গেট। নৌকা প্রতীকের সংসদ সদস্য ও তার অনুসারীদের হামলা-মামলার শিকার হয়ে দিন কেটেছে বিএনপি ও আওয়ামী লীগের শত শত নেতাকর্মীর। স্থানীয়দের অভিযোগ, এমপি পরিবারের কাছে জিম্মি হয়ে ছিল পুরো হাতিয়া। তাদের ভয়ে প্রকাশ্যে কেউ মুখ খুলতেও সাহস পাননি।
সিপি