চট্টগ্রামে অ্যাম্বুলেন্স সাজিয়ে চলছিল মাইক্রোবাস, অভিযানে ফাঁস ট্রাফিক সার্জেন্টের বউয়ের প্রতারণা

অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে নিবন্ধন নেওয়া একটি গাড়িকে মাইক্রোবাসে রূপান্তর করে ব্যবহার করছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক সার্জেন্ট দ্বীন মোহাম্মদের স্ত্রী তানহা আক্তার মিলি। এমন অভিযোগসহ বিআরটিএ’র দুর্নীতি ও অনিয়ম তদন্তে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

৭ মে সকালে চট্টগ্রাম সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর সহকারী পরিচালক এমরান হোসেনের নেতৃত্বে এ এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে চট্টগ্রাম মহানগর ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনে কর্মরত সার্জেন্ট দ্বীন মোহাম্মদকে জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদক।

দুদক জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে সার্জেন্ট দ্বীন মোহাম্মদ স্বীকার করেছেন, তার স্ত্রীর নামে অ্যাম্বুলেন্স হিসেবে নিবন্ধন করা গাড়িটি বাস্তবে মাইক্রোবাস হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।

দুদক সূত্রে জানা যায়, বিআরটিএ বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয় এবং মেট্রো সার্কেল-২ এর অফিসে সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানা অভিযোগ পাওয়ার পর এই অভিযান চালানো হয়। ছদ্মবেশে গ্রাহক সেবাকেন্দ্র ঘুরে নানা অনিয়মের প্রমাণ সংগ্রহ করে দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

তদন্তে দেখা যায়, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ফিটনেস সনদ ও রোড পারমিট ইস্যু করতে ঘুষ লেনদেন এবং দালাল চক্রের সরব উপস্থিতি রয়েছে।

এমরান হোসেন বলেন, ‘অভিযানে বেশ কিছু অনিয়মের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে। অ্যাম্বুলেন্সের নামে নিবন্ধন করা গাড়িটি ব্যক্তিগত ব্যবহারের মাইক্রোবাস হিসেবে চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। সংশ্লিষ্ট রেকর্ড সংগ্রহের জন্য বিআরটিএকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যাচাই শেষে কমিশনের কাছে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm