চট্টগ্রামের পাহাড়তলীতে মেলায় ঘুরতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে নিহত কিশোর ফাহিমের প্রধান খুনিকে কিশোরগঞ্জ জেলা থেকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) ১৪ বছর বয়সী ঘাতক সজলকে চট্টগ্রামে নিয়ে আসা হয়েছে।
সোমবার কিশোরগঞ্জের নিকলি উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানান পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান। কিশোর সজলই ছুরিকাঘাত করে ফাহিমকে হত্যা করেছে বলে দাবী করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে।
কিশোর ফাহিম হত্যায় এখন পর্যন্ত মোট দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ওসি।
তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি নগরীর পাহাড়তলী সরাইপাড়া এলাকার অপর এক কিশোরের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।’
এর আগে শুক্রবার ইফতারের পর ঈদগাঁও কাঁচা রাস্তার মোড়ে দোলন কমিউনিটি সেন্টারের সামনে মেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই দল কিশোরের মধ্যে তর্ক হয়।
ওই সময় ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা বিষয়টি দেখে সেখান থেকে সবাইকে সরিয়ে দেয়। পরে রাত আনুমানিক ১১টার দিকে কিশোরের একটি গ্রুপ স্থানীয় একটি টং দোকানের সামনে জড়ো হয়ে অপরপক্ষের সঙ্গে আবারও বিবাদে জড়ায়। তর্কাতর্কির একপর্যায়ে ফাহিমকে ছুরিকাঘাত করা হয়।
এরপর আহত ফাহিমকে তার বন্ধুরা প্রথমে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় একটি ফার্মেসিতে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা দিতে না পারায় পরবর্তীতে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। হাসপাতালের কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত ফাহিম গণপূর্ত বিদ্যানিকেতনের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। ওই ঘটনায় পর নিহতের বাবা অজ্ঞাত পরিচয়ের আসামিদের বিরুদ্ধে পাহাড়তলী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিএস/এমএফও