চট্টগ্রামে অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতা খুনের তদন্তের হদিস চান পুলিশ কমিশনার

চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিক্রিয়া

গত চার দশকে চট্টগ্রামে খুন হয় পদধারী প্রায় অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতা— যার অনেকগুলোর তদন্ত রিপোর্টই জমা দিতে পারেনি পুলিশ। চট্টগ্রাম প্রতিদিনে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর এসব হত্যামামলার তদন্তে অগ্রগতির বিষয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনারকে জানানোর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (২০ জুলাই) চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) হেডকোয়ার্টার্স থেকে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনারের (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) এর কাছে চট্টগ্রাম প্রতিদিনে প্রকাশিত প্রতিবেদন সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়ে পাঠানো এক চিঠিতে বলা হয়— ‘উপর্যুক্ত বিষয়ে উল্লেখিত প্রতিবেদনে বর্ণিত মামলাগুলোর তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে মাননীয় পুলিশ কমিশনার মহোদয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হল।’

সোমবার (১৮ জুলাই) ‘চট্টগ্রামে ৪ দশকে খুন অর্ধশত ছাত্রলীগ নেতা, বিচার হয়নি একটিরও’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় চট্টগ্রাম প্রতিদিনে।
প্রতিবেদনে চট্টগ্রামে গত চার দশকে খুন হওয়া অর্ধশত পদধারী ছাত্রলীগ নেতা হত্যার বিবরণ তুলে ধরা হয়।

চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনুসন্ধানে ওঠে আসে, এসব হত্যার একটিরও বিচার হয়নি। আবার অনেকগুলো হত্যামামলার তদন্ত রিপোর্টও জমা দিতে পারেনি পুলিশ।

বিষয়টি স্বীকার করে সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম এন্ড অপারেশন) শামসুল আলম বলেন, ‘আপনাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে একটা নোটিশ আমি পেয়েছি। আমরা ইতিমধ্যে মামলাগুলোর বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া শুরু করেছি।’

তিনি বলেন, ‘যেহেতু এখানে অনেকগুলো মামলা এবং অনেক আগেরও মামলা রয়েছে তাই সেগুলোর খোঁজখবর নিতে আমাদের একটু সময় লাগছে। তবে আমরা ১০-১৫ দিনের মধ্যেই মাননীয় পুলিশ কমিশনার বরাবর মামলাগুলোর তদন্ত রিপোর্ট জমা দেবো।’

সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার শামসুল আলম কিছুদিনের মধ্যেই বদলি হয়ে যাচ্ছেন। চট্টগ্রাম থেকে বিদায় নেওয়ার সময় অবশ্যই নতুন অফিসারকে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখারও অনুরোধ করবেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বিএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm