চট্টগ্রামে অনলাইন জুয়ার বড় চক্র ইদ্রিসের ভাতের হোটেলে

বেট-৩৬৫ নামের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে জুয়া খেলা চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে অনলাইনে জুয়া খেলার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ টাকা বিদেশে পাচারেও ভূমিকা রাখছে এই চক্রটি। তিন ধাপ বিশিষ্ট এই চক্রের দুটি ধাপে জড়িত জুয়াড়িদের শনাক্ত ও গ্রেফতার করা গেলেও চক্রের মূল নিয়ন্ত্রণকারীদের বিষয়ে এখনও কোনও তথ্য পায়নি পুলিশ। আড়ালে থাকা এই চক্রের সদস্যদের চিহ্নিত করতে কাজ করার কথা জানিয়েছে তারা।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সিএমপির কোতোয়ালী থানায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিএমপির অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার শাহ মোহাম্মদ আব্দুর রউফ।

নগরীর রিয়াজউদ্দিন বাজারের একটি ভাতের হোটেলে অভিযান চালিয়ে ১৬ জনকে গ্রেফতারের বিষয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। এই ভাতের হোটেল কেন্দ্রীক জুয়ায় বিদেশ থেকেও অনেকে অংশ নেয় বলে দাবি পুলিশের।

জুয়া খেলারত অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া ১৬ জন হলেন মো. শিপু (৩২), ইমাম আলী মিঠু (৩০), আমজাদ হোসেন রোবেল (২৯), মোহাম্মদ ইদ্রিস (৪০), শাহ আলম (৩১), ওসমান (৩৭), নয়ন (৩০), রানা (২৬), বিপ্লব চৌধুরী (৩২), রায়হান ইসলাম (৩১), ফারুক (২৫), বেলাল উদ্দিন (২৭), সানি (২৩), রাজু বনিক (২০), আব্দুল ওয়াহেদ (২৬) ও নজরুল ইসলাম (৩০)।

এডিসি রউফ বলেন, মূলত তিনটি ধাপে এই জুয়া পরিচালিত হয়। এর মধ্যে প্রথম ধাপটি হচ্ছে ইদ্রিসের ভাতের হোটেল। মূলত ভাতের হোটেলের আড়ালে এখানে চলে জুয়ার আসর। হোটেলে ইদ্রিস ও শাহ আলমের কাছে খেলোয়াড়রা যায়। তারা ইদ্রিস ও শাহ আলমের মাধ্যমে খেলায় অংশ নেয়। এর পরের ধাপে অবস্থান ওসমানের। খেলতে আসা জুয়াড়িদের ‘বেট’ ওসমানের কাছে পাঠিয়ে দেয় প্রথম ধাপের দু’জন। এই ওসমান মূলত খেলোয়াড়দের সাথে বিট ৩৬৫ নামক ওয়েবসাইটের সংযোগ ঘটায়। এই বাজির টাকা লেনদেন হয় ওয়েবসাইটে রাখা ডলারের মাধ্যমে। তবে এখানে টাকা ও ডলার কনভার্ট এবং জুয়ার মূল নিয়ন্ত্রণকারী সম্পূর্ণ আড়ালে থেকে এই ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করে।

জুয়ায় প্রবাসীদের অংশ গ্রহণের বিষয়ে এডিসি রউফ বলেন, বিদেশে অবস্থান করা অনেক প্রবাসী ইমো ও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে দেশে অবস্থান করা জুয়াড়িদের সাথে বাজি ধরে। হেরে গেলে তারা বিকাশে টাকা দেয় জুয়াড়িদের। আর যদি জিতে যায় তাহলে জুয়াড়িরা সেই টাকা প্রবাসীদের স্বজনদের কাছে পাঠিয়ে দেয়।

গ্রেফতারদের কাছ থেকে জুয়ার হিসেব ও লেনদেনের একটি রেজিস্টার, ৭টি মোবাইল ও নগদ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান এডিসি আব্দুর রউফ।

এআরটি/এসএ/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!