চট্টগ্রামে অক্সিজেন সাপোর্ট লাগছে ৯০ ভাগ করোনা রোগীরই, জটিল উপসর্গের রোগী বাড়ছে

0

চট্টগ্রামে করোনা চিকিৎসার প্রধান কেন্দ্র জেনারেল হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা প্রায় ৯০ শতাংশ রোগীকেই দিতে হচ্ছে অক্সিজেন সাপোর্ট। এর মধ্যে অন্তত ৪০ শতাংশ রোগীকে প্রতি মিনিটে ১০ থেকে ১৫ লিটার করে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে।

হাসপাতালটির সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে এই তথ্য জানিয়ে বলেন, ‘হাসপাতালে মোট শয্যার বিপরীতে আইসোলেশন ওয়ার্ডে শতাধিক শয্যা খালি থাকলেও গত কয়েকদিনে এই হাসপাতালের আইসিইউ ওয়ার্ড প্রায় পুরো সময়ই ছিল রোগীতে পরিপূর্ণ। এমনকি আইসোলেশন ওয়ার্ডে থাকা অনেক রোগীকে প্রয়োজন থাকার পরও আইসিইউ বেডে চিকিৎসা দিতে না পেরে হাই ফ্লো ন্যাজোল ক্যানোলা দিয়ে অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউ ও আইসোলেশন ওয়ার্ডে গড়ে ৭০-৭৫ জন করে রোগী থাকছেন প্রতিদিন। এর মধ্যে আইসিইউর ১৬ শয্যার সবকটিতে রোগী থাকলেও ১৬০ শয্যায় রোগী থাকছেন ৫০-৬০ জন করে।

s alam president – mobile

ডা. আব্দুর রব বলেন, ‘হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ড অর্ধেকেরও বেশি খালি। তবে যেসব রোগী আসছে তাদের প্রায় ৯০ শতাংশকেই অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। এর মধ্যে আইসিইউ ওয়ার্ডের বাইরেও যারা চিকিৎসা নিচ্ছেন তাদের মধ্যে ১০-১৫ জনকে প্রতিদিন ১০ থেকে ১৫ লিটার গতিতে অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ জটিল উপসর্গের রোগী বেশি।’

পরিস্থিতি সামাল দিতে সবাইকে সচেতন হয়ে সরকারি বিধিনিষেধ মেনে চলার পাশাপাশি জ্বর-কাশি-সর্দি দেখা দিলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘হাসপাতালে যারাই আসছেন তাদের বেশিরভাগই ক্রিটিকাল রোগী। প্রাথমিক পর্যায়ে গুরুত্ব না দিয়ে অবস্থার অবনতি হলে হাসপাতালে আসছেন। এরকম হতে থাকলে সামনের দিকগুলোতে আরও চাপ বাড়বে।’

জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট বলেন, ‘যাদেরই জ্বর, সর্দি, কাশি দেখা দেবে তাদের দ্রুত টেস্ট করানো জরুরি। একইসঙ্গে ডাক্তারের পরামর্শও নেওয়া উচিত। তাহলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা সহজ হবে।’

Yakub Group

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!