চট্টগ্রামের ৭ এলাকা রেড জোন ঘোষণার ২০ দিন পর ঘুম ভাঙলো সিটি কর্পোরেশনের
মশা মারতে ৩ দিনের ক্যাম্পেইন
চট্টগ্রাম নগরীর সাত এলাকাকে ‘রেড জোন’ হিসেবে ঘোষণার ২০ দিন পর টনক নড়লো সিটি কর্পোরেশনের। এডিস মশা মারতে তিন দিনের ক্যাম্পেইন শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ অক্টোবর মাসের ২৮ দিনে ১ হাজার ২৯০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। যা চলতি বছরে সর্বোচ্চ আক্রান্তের সংখ্যা।
সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে শেরশাহ কলোনির ডা. মজহারুল হক হাই স্কুল প্রাঙ্গণে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।
এদিকে চলতি বছরের সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার বেড়ে যাওয়ায় গত ৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের কার্যালয় কোতোয়ালী, বাকলিয়া, বায়েজিদ বোস্তামী, বন্দর, পাহাড়তলী, খুলশী ও চকবাজার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে।
এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, নগরীর কোতোয়ালী, বাকলিয়া, বায়েজিদ, পাহাড়তলী, খুলশী, বন্দর ও চকবাজারকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এর মধ্যে গত এক মাসে কোতোয়ালী এলাকায় ১০৬ জন, বাকলিয়ায় ১০৩ জন, বায়েজিদে ৭৬ জন, বন্দরে ৩৩ জন, পাহাড়তলীতে ৩২ জন, খুলশীতে ২৩ জন এবং চকবাজারে ২০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে।
সিভিল সার্জনের প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়, হলুদ জোন হিসেবে চিহ্নিত পাঁচলাইশে ১৯ জন, হালিশহরে ১৮ জন, পতেঙ্গায় ১৫ জন, চান্দগাঁওয়ে ১১ জন এবং ডবলমুরিংয়ে ১০ জন আক্রান্ত হয়েছে।
তবে চট্টগ্রামের সাত এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের হার কম। এগুলোকে নীল জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে লালখানবাজারে ৯ জন, আগ্রাবাদে ৭ জন, মুরাদপুরে ৬ জন, আকবরশাহে ৫ জন, কাট্টলীতে ৫ জন, নাসিরাবাদে ৪ জন এবং দামপাড়ায় ৫ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে।
এছাড়া অক্সিজেন এলাকায় ৩ জন এবং সিটি গেট, চৌমুহনী ও সদরঘাটে ২ জন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছে। এসব এলাকা সবুজ জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আইএমই/ডিজে