আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনে ঘোষিত কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের ছয় নেতা। এর মধ্যে পাঁচজনই আগের পদে বহাল রয়েছেন।
এই পাঁচজনের মধ্যে প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন যথারীতি বহাল রয়েছেন। আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সভাপতিমণ্ডলীতে পদ আছে ১৯টি।
কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ড. হাছান মাহমুদ, দপ্তর সম্পাদক পদে ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং অর্থ ও পরিকল্পনা সম্পাদক পদে ওয়াসিকা আয়েশা খান যথারীতি স্বপদে বহাল রইলেন। অন্যদিকে আগের কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন এবার হয়েছেন ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদকের পদটি ফাঁকা আছে এখনও। এছাড়া ধর্ম বিষয়ক পদে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম মোস্তফাও আগের পদে বহাল রয়েছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির মোট পদের সংখ্যা ৮১।
শনিবার (২৪ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগের ২২তম ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের সমাপনী পর্বে দলটির উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়।
এতে আগের কমিটির কেউ বাদ যাননি। সেখানে যথারীতি বহাল রয়েছেন ড. অনুপম সেন ও ড. প্রণব কুমার বড়ুয়া।
এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের ২২তম জাতীয় সম্মেলনের উদ্বোধন করা হয়। পরে বেলা তিনটায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বসে আওয়ামী লীগের নতুন নেতৃত্ব নির্বাচন পর্ব। কাউন্সিলরদের সমর্থন নিয়ে প্রথমে সভাপতি পদে শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক পদে ওবায়দুল কাদেরকে নির্বাচন করা হয়। এ নিয়ে টানা দশমবারের মতো আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হলেন শেখ হাসিনা। আর টানা তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে এলেন ওবায়দুল কাদের।
সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার তাঁরা দুজন অধিবেশনের মঞ্চে আসেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা নতুন কেন্দ্রীয় কমিটির বাকি সদস্যদের নাম ঘোষণা করেন।
নতুন কমিটিতে যারা স্থান পেলেন
সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য: বেগম মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্লাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, লে. কর্নেল (অব.) মুহাম্মদ ফারুক খান, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, সিমিন হোসেন রিমি।
যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক: ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও ডা. দীপু মনি।
কোষাধ্যক্ষ: এইচ এন আশিকুর রহমান।
সম্পাদকমণ্ডলী
অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক: ওয়াসিকা আয়শা খান।
আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক: ড. শাম্মী আহমেদ।
আইন বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট নজিবুল্লাহ হিরু।
কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক: ফরিদুন্নাহার লাইলী।
তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক: ড. সেলিম মাহমুদ
ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক: আমিনুল ইসলাম আমিন।
দপ্তর সম্পাদক: ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।
ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা।
প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক: ড. আবদুস সোবহান গোলাপ।
বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক: দেলোয়ার হোসেন।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক: ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর।
মহিলা বিষয়ক সম্পাদক: জাহানারা বেগম।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক: অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস।
শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক: শামসুন নাহার চাঁপা।
শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক: মো. সিদ্দিকুর রহমান।
সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক: অসীম কুমার উকিল।
স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক: ডা. রোকেয়া সুলতানা।
সাংগঠনিক সম্পাদক: আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, এস এম কামাল হোসেন, মির্জা আজম, অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সুজিত রায় নন্দী।
উপ-দপ্তর সম্পাদক: সায়েম খান।
কার্যনির্বাহী সদস্য
আবুল হাসনাত আব্দুল্লাহ, নূরুল ইসলাম ঠান্ডু, দীপঙ্কর তালুকদার, অ্যাডভোকেট মো. আমিরুল আলম মিলন, বেগম আখতার জাহান, ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট এ বি এম রিয়াজুল করিব কাওছার, প্রফেসর মেরিনা জাহান, পারভীন জামান কল্পনা, অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, অ্যাডভোকেট সফুরা বেগম রুমি,অ্যাডভোকেট সানজিদা খানম, আনোয়ার হোসেন, আনিসুর রহমান, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, ইকবাল হোসেন অপু, মো. গোলাম কবীর রাব্বানী চিনু, মারুফা আক্তার পপি, উপাধ্যক্ষ রেমন্ড আরেং, অ্যাডভোকেট গ্লোরিয়া সরকার ঝর্ণা, মোহাম্মদ সাইদ খোকন, আজিজুস সামাদ, আজাদ ডন, সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।
এছাড়া ৮১ সদস্যের কমিটির অপর সদস্যদের নাম ধীরে ধীরে ঘোষণা করা হবে।