মহান ভাষা আন্দোলনের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপনে ভাষা আন্দোলনে অসামান্য অবদানের জন্য চট্টগ্রামের ১৯ জন বরেণ্য ভাষাসৈনিককে শ্রদ্ধা জানানোর উদ্যোগ নিয়েছে ‘নগদ’—দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড। মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ‘ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক বিশেষ এই যৌথ প্রকাশনার মোড়ক উন্মোচন করেছে ‘নগদ’—দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) ‘নগদ’-এর প্রধান কার্যালয় অনুষ্ঠিত একটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বিশেষ এই ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুকসহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের ১৯ জন ভাষাসৈনিকের না বলা গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘ভাষা আন্দোলনে চট্টগ্রাম’ শীর্ষক যৌথ প্রকাশনাটি। মহান ভাষা আন্দোলনে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলার মর্যাদা অর্জনের জন্য তাঁদের সক্রিয় অংশগ্রহণ ও অবদানের গল্প উঠে এসেছে এই প্রকাশনাটির মাধ্যমে। ভাষা আন্দোলনে ভাষা সৈনিকদের অবদান ও আত্মত্যাগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার পাশাপাশি ম্যাগাজিনটি বাংলা ভাষার এবং অমর একুশে ফেব্রুয়ারির ইতিহাস সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
প্রকাশনাটিতে চট্টগ্রামের ১৯ জন ভাষাসৈনিকের মধ্যে রয়েছেন— শহীদ সাবের, আহমেদুর রহমান আজমী, এ কে এম এমদাদুল ইসলাম, শ্রী কৃষ্ণ গোপাল সেন, আব্দুস সালাম, এ কে এম রফিক উল্লাহ চৌধুরী, আব্দুল্লাহ আল হারুন, রমেশ শীল, এম এ আজিজ, আবুল কালাম আজাদ, চেমন আরা, মোহাম্মদ সোলায়মান, বিনোদ বিহারী, প্রতিভা মুৎসূদ্দি, শওকত ওসমান, জহুর আহমেদ চৌধুরী, অধ্যাপক আব্দুল ফজল, সায়েদুল হক এবং মাহবুব উল আলম চৌধুরী।
এর আগে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি উদযাপনে এই ১৯টি গল্প ১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জাতীয় ইংরেজি দৈনিক দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড প্রিন্ট এবং অনলাইন সংস্করণের মাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রকাশ এবং প্রচার করে। যৌথ এই প্রকাশনাটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের দৈনিক সংবাদপত্রের সঙ্গে দেশজুড়ে পাওয়া যাবে।
মহতী এই উদ্যোগের বিষয়ে ‘নগদ’-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর এ মিশুক বলেন, ‘এই প্রচেষ্টা আমাদের সাহসী ভাষা সৈনিকদের ইতিহাস সংরক্ষণ ও সম্মান প্রদর্শনের একটি ছোট পদক্ষেপ। নগদ এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে অত্যন্ত আনন্দিত। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গল্পগুলো একত্রিত করার জন্য দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড এবং সব সহযোগীদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই।’