চট্টগ্রামের ১০ স্পটে বসল পুলিশের চেকপোস্ট, ১২ ম্যাজিস্ট্রেট কড়া প্রহরায়

0

লকডাউনে চট্টগ্রামের প্রবেশপথসহ জেলার মোট ১০ জায়গায় বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কাউকে রাস্তায় দেখা গেলে আটকানো হবে এসব চেকপোস্টে।

এদিকে বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) সকাল ৬টা থেকে ৭ জুলাই (বুধবার) মধ্যরাত পর্যন্ত সরকার ঘোষিত সপ্তাহব্যাপী লকডাউন বাস্তবায়নে চট্টগ্রামজুড়ে সক্রিয় রয়েছেন ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেট।

জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে আজ বৃহস্পতিবার থেকে ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পৃথক টিম সার্কিট হাউস থেকে একযোগে সকাল সাড়ে ১০টায় অভিযান শুরু করেছেন। এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার, র‌্যাব ও অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার ১০০ জন স্বেচ্ছাসেবক।

s alam president – mobile

এর আগে বুধবার ( ৩০ জুন) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান জানান, চট্টগ্রামের প্রধান দুই প্রবেশপথ সিটি গেইট ও শাহ আমানত সেতু এলাকা ছাড়াও নগরীর নগরীর অক্সিজেন, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, মইজ্যার টেক ও বায়েজিদ লিংক রোড এলাকায় থাকছে পুলিশের চেকপোস্ট। অন্যদিকে সাতকানিয়ার কেরানী হাট, সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট ও মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জেও থাকছে আরও তিনটি চেকপোস্ট।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক বলেন, নগরীর সাতটি প্রবেশমুখে পুলিশের চেকপোস্ট থাকছে। এছাড়াও জেলা প্রশাসনের ১২ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের ১২টি টিম মাঠে টহলে থাকছে।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, লকডাউন চলাকালে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া-চকবাজার এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত, খুলশী এলাকায় ইনামুল হাসান, কোতোয়ালী এলাকায় মো. উমর ফারুক, বায়েজিদ এলাকায় জিল্লুর রহমান, পাঁচলাইশ-চান্দগাঁও এলাকায় রেজওয়ানা আফরিন, হালিশহর এলাকায় মাসুদ রানা, বন্দর-ডবলমুরিং এলাকায় নূরজাহান আকতার সাথী, আকবরশাহ-পাহাড়তলী এলাকায় ফাহমিদা আফরোজ এবং বায়েজিদ এলাকার দায়িত্বে রয়েছেন প্লাবন কুমার।

Yakub Group

সিএম/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!