চট্টগ্রামের হিলভিউতে ‘মধুচক্র’ চালায় পুলিশের কথিত ক্যাশিয়ার, বসে মাদক সেবনের আসরও

চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানার পূর্ব নাসিরাবাদ হিলভিউ আবাসিক এলাকায় অল্প কিছুদূর গেলেই চোখে পড়বে বহুতল ভবন ‘শান্তির নীড়’। ভবনের নাম শান্তির নীড় হলেও ওই ভবনের দ্বিতীয় তলার এক ভাড়াটিয়ার জ্বালায় পুরো এলাকার মানুষ রয়েছে অশান্তিতে। প্রতিদিন ইয়াবাসেবন থেকে শুরু করে দেহব্যবসা–সব ধরনের অবৈধ কাজ হয় দ্বিতীয় তলার ওই বাসায়। আর এসবের পেছনে নাটের গুরু পুলিশের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কথিত ‘ক্যাশিয়ার’ বলে জানা গেছে।

জানা যায়, ওই বাড়ির দ্বিতীয় তলায় প্রতিদিন বসে ইয়াবা সেবনের আসর। একইসঙ্গে যুবতী মেয়েদের আনাগোনা থাকে হরহামেশা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে ওই ভবনের আশপাশে রাখা হয়েছে পাহারাদারও। অবৈধ ব্যবসার চালাতে প্রতি দুই থেকে তিন মাস পরপর বাসা বদলানো হয়। প্রত্যাশিত ঘরভাড়ার চেয়েও বেশি দেয়া হয় বাড়ির মালিকদের।

দিন-রাত উঠতি বয়সী যুবক-যুবতীদের অশালীন চলাফেরায় স্থানীয় বাসিন্দারা বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, এসব অবৈধ মাদক ও দেহব্যবসার নেপথ্যের নায়ক চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের দক্ষিণ জোনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার কথিত সাবেক ক্যাশিয়ার উজ্জ্বল রায়। তার সঙ্গে রয়েছে বাবুল নামের এক ব্যক্তিও। ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে এই মধুচক্র নিয়ন্ত্রণ করেন তিনি। এছাড়া ওই বাসায় বিভিন্ন ধরনের মাদক সরবরাহ করেন রিমি নামের এক নারী।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ওই ভবনটিতে গত একমাস ধরে দুপুরে এবং সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত চলাফেরা করলে বাতাসে ভেসে আসে ইয়াবার গন্ধ। দিন-রাত ওই ভবনে বোরকা পরিহিত যুবতি নারী ও উঠতি বয়সী পুরুষদের আনাগোনা থাকে। দ্রুত এই চক্র বন্ধ না হলে স্থানীয় যুবকরা বিপথগামী হবে।

অবৈধ ব্যবসা সম্পকে জানতে চাইলে কথিত ক্যাশিয়ার উজ্জ্বল রায় চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমি অবৈধ ব্যবসা চালাচ্ছিতো। আমাকে কেন ফোন দিছেন?’ পরে সংযোগ কেটে কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দিয়ে এই প্রতিবেদকের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ জানান তিনি। দেখা করতে অস্বীকৃতি জানালে তিনি এই প্রতিবেদককে হুমকি দেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সাদিকুর রহমান বলেন, ‘আমি লিখে নিয়েছি ঠিকানা। ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

এমএ/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm