চট্টগ্রামের হাসপাতাল পরীক্ষা ছাড়াই শিশুকে করোনা পজিটিভ দেখিয়ে টাকাও নিল অতিরিক্ত

ক্যানুলা ফিটিংয়ের চার্জই ২২০০ টাকা

পরীক্ষা ছাড়াই আড়াই বছরের এক শিশুকে করোনা পজিটিভ হিসেবে ঘোষণা করেছে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি রয়েল হাসপাতাল। শুধু তাই নয়, ক্যানুলা ফিটিংয়ের জন্য নেওয়া হয়েছে অস্বাভাবিক চার্জ।

রোগীর স্বজনরা জানান, আয়ান নামের ওই শিশুটিকে স্যালাইন দিতে শুধু ক্যানুলা ফিট করার জন্য রয়েল হাসপাতাল ২ হাজার ২০০ টাকা চার্জ ধরেছে।

আড়াই বছরের শিশুটি হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পর তার শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে যেতে থাকলে তার বাবা আইনজীবী সৈয়দ মুখতার আহমেদ গত শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) তাকে চট্টগ্রাম নগরীর ওআর নিজাম রোডের রয়েল হাসপাতালে ভর্তি করান। ওইদিনই সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার আয়ানের করোনা ও ডি-ডিমার পরীক্ষা করানোর কথা জানান। এরপর আয়ানের শরীর থেকে রক্ত নেওয়া হয়। সেই ‘পরীক্ষা’য় আয়ান করোনা পজিটিভ হিসেবে ‘শনাক্ত’ হয়।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আয়ানকে শনিবারই অ্যান্টিবায়োটিক ওষুুধ দেওয়া হয়। পরদিন রোববারও একই অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়।

আয়ানের করোনা পজিটিভ হওয়া নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) তার বাবা অন্য একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে আয়ানের করোনা পরীক্ষা করান। সেখানে করোনার ফলাফল আসে নেগেটিভ। এদিকে নানা ওষুধ ও পরীক্ষার পরও টানা দুই দিন ধরে ছেলের মধ্যে সুস্থ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখতে না পেয়ে আয়ানের বাবা সোমবার (৬ সেপ্টেম্বর) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন ডাক্তারকে।

কিন্তু ছাড়পত্র নিতে গিয়ে রয়েল হাসপাতালের হিসাব বিভাগ থেকে যে বিল দেওয়া হয়, সেটা ছিল অস্বাভাবিক।

সেখানে দেখা গেছে, স্যালাইন দেওয়ার একটি ক্যানুলা ফিট করার জন্য চার্জ ধরা হয়েছে ২ হাজার ২০০ টাকা। সার্ভিস চার্জ নেওয়া হয়েছে ৬ হাজার টাকা। রুম ভাড়া ধরা হয়েছে ৫ হাজার ২০০ টাকা। আর কথিত করোনা পরীক্ষার চার্জ ধরা হয়েছে ২ হাজার ৭০০ টাকা।

তবে কথিত যে করোনা পরীক্ষায় আড়াই বছরের আয়ানের ‘করোনা পজিটিভ’ ফলাফল এসেছে, সেই রিপোর্ট আর দিতে চান না হাসপাতালটির ম্যানেজার।

রয়েল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এখন কর্মীদের ওপর দায় চাপিয়ে বলছে, শিশুটির করোনা পরীক্ষা তারা করেনি। এ বাবদ চার্জ ভুল করে যোগ করা হয়েছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!