চট্টগ্রামের স্কুলে করোনার থাবা, প্রধান শিক্ষকের মৃত্যু—আক্রান্ত আরও ৩ শিক্ষক

করোনার কারণে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর স্কুল খোলার দুই সপ্তাহের মধ্যেই চট্টগ্রামের একটি স্কুলে করোনা থাবা বসিয়েছে। তাতে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষকের প্রাণও কেড়ে নিয়েছে করোনা। নিহত প্রধান শিক্ষকের নাম ফেরদৌসি বেগম। তিনি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ছিপাতলী আলী মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।

রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

এছাড়া হাটহাজারী উপজেলায় আরও তিন প্রাথমিক শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়ে হোম আইসোলেশনে আছেন। সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. শাহিদুল আলম। তিনি বলেন, ‘ছিপাতলী আলী মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি বেগম করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। তবে ওই স্কুলের আর কারও করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর পাইনি। এছাড়া অন্য স্কুলের আরও তিনজন শিক্ষক করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্কুল খোলার পরই তারা করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। ফেরদৌসি বেগম সুস্থ ছিলেন। তিনি হঠাৎ করে অসুস্থ হয়ে যান। তিনি যেদিন থেকে অসুস্থবোধ করেছেন সেদিন থেকে বিদ্যালয়ে আসেননি। শিক্ষা অফিস থেকেও তাকে স্কুলে না আসার জন্য বলা হয়েছিল। যে শিক্ষকরা আক্রান্ত হয়েছেন তাদেরকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়েছে। এছাড়া সব স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের তাপমাত্রা পরিমাপ করা হচ্ছে। যখনই কারও করোনা শনাক্ত হচ্ছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’

জানা গেছে, ২২ সেপ্টেম্বর পৌরসভার হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাহিনা আক্তার, ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার ছিপাতলী আলী মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফেরদৌসি বেগম, ১৮ সেপ্টেম্বর উত্তর মাদার্শা মাহলুমা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সঞ্চিতা বড়ুয়া ও উত্তর বুড়িশ্চর রশিদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্মৃতি দত্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। অন্যদিকে, সহকারী শিক্ষক সাহিনা আক্তারের স্পর্শে আসায় রোববার (২৬ সেপ্টেম্বর) হাটহাজারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরিফুল ইসলামসহ ১৫ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

মারা যাওয়া ফেরদৌসি বেগম উপজেলার ছিপাতলী আলী মোহাম্মদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। তিনি পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের সমুরা গ্রামের মল্লাবাড়ির মো. আবদুল মাবুদ মল্লার স্ত্রী। ফেরদৌসি বেগম দুই মেয়ে ও এক ছেলের জননী। রোববার রাতে জানাজা শেষে তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!