চট্টগ্রামের সেই ইয়াবা ব্যবসায়ী পুলিশকে জেলেই যেতে হল

ইয়াবা ধরে বেচে দিতেন চট্টগ্রামের দুই পুলিশ

র‌্যাবের দায়ের করা মাদক মামলায় বরখাস্ত হওয়া চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এএসআই মোহাম্মদ মোস্তফাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ওসমান গণির আদালত এ আদেশ দেন।

মোহাম্মদ মোস্তফা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার বন্দর জোনের সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। তিনি নোয়াখালী জেলার চরজব্বার থানার চরহাসান সিকদার বাড়ির সাইদুর রহমানের ছেলে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার শাহাবুদ্দীন আহমেদ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দুপুরে এএসআই মোহাম্মদ মোস্তফা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।’

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ২১ অক্টোবর বিকেলে চট্টগ্রামের ওয়াসা মোড়ের হক লাইব্রেরি সামনে থেকে দুই হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন রাঙ্গুনিয়া থানার কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন। মোশাররফ প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেন তিনি এএসআই মোহাম্মদ মোস্তফাসহ ইয়াবা বিক্রির সাথে জড়িত।

তারা দুজনে কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম জেলায় একসঙ্গে চাকরি করেছেন। দুজনের মধ্যে বেশ সখ্যতাও রয়েছে। পরদিন (২২ অক্টোবর ২০২০) এ ঘটনায় নগরীর চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করে র‌্যাব।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার বন্দর জোনের একজন সহকারী উপ পরিদর্শক (এএসআই) মোহাম্মদ মোস্তফা বিভিন্ন সময়ে ইয়াবা পাচারকারী ধরে কর্মস্থলে ‘সুনাম’ কুড়ালেও নিজেই করতেন ইয়াবা ব্যবসা। মোহাম্মদ মোস্তফার ইয়াবা বিক্রির সময় গত বছরের অক্টোবর মাসে মোশাররফ হোসেন নামে রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত এক পুলিশ কনস্টেবল র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হলে মোহাম্মদ মোস্তফার এই কদর্য রূপ প্রকাশ্যে আসে।

সেই ঘটনায় র‌্যাবের দায়ের করা মামলায় তদন্ত শেষে সত্যতাও পেয়েছে নগর পুলিশ। তদন্ত শেষে কনস্টেবল মোশাররফ হোসেন ও এএসআই মোহাম্মদ মোস্তফাকে অভিযুক্ত করে গত ১২ জানুয়ারি আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের উত্তর জোনের পরিদর্শক মাঈনুর রহমান।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে এএসআই মোস্তফা সেসময় গা ঢাকা দিয়ে কিছুদিন পলাতক থাকলেও পরে উচ্চ আদালত থেকে অন্তবর্তীকালীন জামিন নিয়ে কর্মস্থলে হাজির হলে তাকে নগর গোয়েন্দা পুলিশের বন্দর জোন থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএইচ/কেএস/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!