চট্টগ্রামের সাবেক মেয়রের ছেলে ঢাকায় গ্রেপ্তার, ছাড়া হল সমঝোতায়
বিডিফাইন্যান্সের ২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ
২৭ কোটি টাকা মেরে দেওয়ার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তবে গ্রেপ্তারের পরপরই থানায় এসে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি আংশিক টাকা পরিশোধ করেছেন। পাওনাদারের সঙ্গে ‘সমঝোতা’ হওয়ায় আদালতে না পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীর অফিস থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে তেজগাঁও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী খান বাহাদুর গ্রুপ এবং আমানত মেরিন ওয়ার্কস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে।
মঈনুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত আর্থিক খাতের কোম্পানি বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সঙ্গে চেক জালিয়াতির ঘটনায় ওই প্রতিষ্ঠানটি নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় ঢাকার তেজগাঁও থানা পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর বিডি ফাইন্যান্সের পক্ষ থেকে পুলিশকে জানানো হয়, মঈনুদ্দিন চৌধুরী গ্রেপ্তার হওয়ার পর আংশিক টাকা পরিশোধ করেছেন। এ বিষয়ে তার সঙ্গে ‘সমঝোতা’ হওয়ায় আদালতে না পাঠিয়ে আনুষ্ঠানিকতা শেষে পুলিশ তাকে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে বিডি ফাইন্যান্সের আইন বিভাগের প্রধান ব্যারিস্টার ইব্রাহিম খলিল বলেন, মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২৮ লাখ টাকার চেকের মামলা করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) কিছু পেমেন্ট করেছেন। বাকি টাকা আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি পরিশোধ করবেন।
তিনি বলেন, মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী অসুস্থ। তাই মানবিকতার খাতিরে তার সঙ্গে সমঝোতায় এসেছি। পুরো টাকা পেমেন্ট হলে আমরা মামলা তুলে নেব। তবে তার কাছে বিডি ফাইন্যান্সের আরও অনেক টাকা পাওনা রয়েছে।
এদিকে পুলিশ জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী পরিবারের বিভিন্ন সদস্যের নামে-বেনামে বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নিয়ে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। চেক প্রতারণার বিভিন্ন মামলায় মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীসহ তার দুই ছেলের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে।
সিপি