চট্টগ্রামের সাবেক পুলিশ কমিশনার ‘মানবতাবিরোধী অপরাধে’ কারাগারে
গুম–খুনের অভিযোগে এএসপি মশিউর গ্রেপ্তার
মানবতাবিরোধী অপরাধের পৃথক দুটি মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) সাবেক কমিশনার সাইফুল ইসলাম ও অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল–১ এ পৃথক আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রামে জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময়ের মামলা
জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় চট্টগ্রামে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় বৃহস্পতিবার ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয় সাবেক পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলামকে। শুনানি শেষে তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রসিকিউশন জানায়, সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মহানগরীর পাঁচলাইশ থানাধীন মুরাদপুর এলাকায় মো. ওয়াসিম আকরাম, ফয়সাল আহমেদ শান্ত ও মো. ফারুক হত্যার ঘটনায় সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া জুলাই আন্দোলন চলাকালে নিরীহ ছাত্র–জনতার বিরুদ্ধে ২৫টির বেশি মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার ও নির্যাতনের প্রাথমিক প্রমাণ মিলেছে।
গুম–খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার এএসপি মশিউর
অন্যদিকে, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলে সংঘটিত গুম–খুনের অভিযোগে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সিআইডির এএসপি মশিউর রহমানকেও গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানী থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হলে গুমের মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রসিকিউশন জানায়, গুমের শিকার ৩৫ জনের বেশি ব্যক্তির অভিযোগের ভিত্তিতে এ মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় মশিউর রহমান ছাড়াও বরিশাল রেঞ্জের সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিন আসামি হিসেবে আছেন। র্যাবে চাকরির সময় আলেপ উদ্দিনের অন্যতম সহযোগী ছিলেন মশিউর রহমান।
এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ৩০ নভেম্বর দাখিলের জন্য দিন নির্ধারণ করেছে ট্রাইব্যুনাল।



