চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক খান তালাত মাহমুদ রাফির ফেসবুক আইডি হ্যাকড হয়েছে। একথা স্বীকার করে অন্য একটি পেইজে তিনি বার্তা পোস্ট করেছেন।
নতুন বছরের প্রথম দিন বুধবার (১ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে তার আইডিটি হ্যাকিংয়ের শিকার হয়। এতে ছিল ছয় লাখেরও বেশি ফলোয়ার ছিল।
‘ক্র্যাক প্লাটুন—বাংলাদেশ সাইবারফোর্স’ নামের একটি হ্যাকার গ্রুপ এই হ্যাকিংয়ের দায় স্বীকার করেছে। তবে গ্রুপটির নেপথ্যে কারা আছে, তা জানা যায়নি।
হ্যাকার গ্রুপটি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছে, ‘মুক্তিযোদ্ধা কোটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে আবার মুক্তিযোদ্ধা কোটা বাতিলের দাবিতে চট্টগ্রামে যে নৈরাজ্য হয়েছে তা কথিত সমন্বয়ক রাফির মাধ্যমে হয়েছে। দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং পুলিশ হত্যার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে খান তালাত মাহমুদ রাফির আইডি পার্মানেন্ট ডিজেবল করে দেওয়া হয়েছে। বাংলার অনলাইন রাখিবো রাজাকার মুক্ত স্লোগানেই আমাদের এই যাত্রা।’
রাত পৌনে আটটার দিকে অন্য একটি আইডি থেকে ফেসবুকে রাফি অভিযোগ করেন, ‘নিঝুম মজুমদারের দেয়া ২০ হাজার ইউএস ডলারের বিনিময়ে এক টিম সাইবার এটাক করা শুরু করছে। ফলশ্রুতিতে সাইয়েদ আবদুল্লাহ , আসিফ মাহমুদ, হাসনাত আব্দুল্লাহ, খান তালাত মাহমুদ রাফি, সাদিক কায়েম এদের আইডি ডিজেবল্ড। আরো অনেকের আইডি বন্ধ করে দেয়া হতে পারে।’
এদিকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়াসহ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষস্থানীয় কয়েকজন নেতা ও জুলাই আন্দোলনে সক্রিয় অনেকেরই ফেসবুক আইডি হঠাৎ নিষ্ক্রিয় দেখা গেছে। এদের মধ্যে রয়েছেন অন্য যাদের আইডি নিষ্ক্রিয় তারা হলেন- বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ, জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি আবু সাদিক কায়েম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও অনলাইন একটিভিস্ট সাইদ আব্দুল্লাহ।
সর্তকতা অবলম্বন করে তাদের কেউ কেউ নিজেরাই ডিএক্টিভ করে রেখেছেন বলে জানিয়েছেন।
সিপি