চট্টগ্রামের শেয়ারবাজারে নতুন নিয়ম, ৭১ কোম্পানির লেনদেন বাতিল

চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বাতিলের পথে। বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) এক দিনে ৭১ কোম্পানির শেয়ার লেনদেন বাতিল করা হয়েছে। নতুন নিয়ম অনুসারে ৫ কর্মদিবসের গড় হিসাব থেকে কম লেনদেন হলে বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে কর্তৃপক্ষের।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী থেকে যেকোন কোম্পানির শেয়ার লেনদেন শুরু হবে সর্বশেষ ৫ কার্যদিবসের ওয়েটেড গড় ক্লোজিং দর দিয়ে। আর ওই দরের নিচে শেয়ারের দাম নামতে পারবে না।

তবে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার লেনদেনে এই নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে। যে কারণে ওইসব শেয়ার লেনদেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএসই।

জানা গেছে, সিএসইতে ৮৫ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪ কোম্পানির লেনদেন হয়েছে বিএসইসির নির্দেশনার আলোকে। বাকি ৭১টি কোম্পানির লেনদেনে বিএসইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে, যাতে ওই ৭১ কোম্পানির লেনদেন বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিএসই। লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাত্র চারটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে।

সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন উর রশীদ সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার কমিশনের নির্দেশনা পাওয়ার আগেই দুপুর ১টায় সিএসইতে লেনদেন শুরু হয়ে যায়। পরে নির্দেশনা পাওয়ার সাথে সাথে লেনদেন বন্ধ করার ব্যবস্থা করি। এখন ওই লেনদেনে যেসব কোম্পানির ক্ষেত্রে বিএসইসির নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটেছে সেগুলো বাতিল করা হবে।

সিএসইর পরিচালক করিমুল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমরা প্রথমে আগের নিয়মেই লেনদেন শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরে বিএসইসির নিদের্শনা অনুসারে কাজ শুরু করেছি। এর জন্য কম্পিউটার সফটওয়্যারে অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। এ কাজগুলো ঠিক করতে লেনদেনও বন্ধ রাখতে হয়েছে দুপুরের দিকে।

করোনাভাইরাসের কারণে দেশের দুই শেয়ারবাজারেই লেনদেনের সময় ১ ঘণ্টা কমিয়ে আনা হয়েছে। বুধবার (১৮ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত করার সিদ্ধান্ত নেয় ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ।

এর আগে গত ৮ মার্চ থেকে দেশের শেয়ারবাজারে বড় পতন ঘটে। যাতে সর্বশেষ ৮ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৭৮১ পয়েন্ট বা ১৮ শতাংশ। এর মধ্যে ৯ মার্চ রেকর্ড ২৭৯ পয়েন্ট বা ৬.৫২ শতাংশ পড়েছিল। এমন পতনের দিনেই শেয়ারবাজার বন্ধ করা নিয়ে বিভিন্ন মহলে গুঞ্জন উঠেছিল। তবে এই মুহূর্তে শেয়ারবাজার বন্ধ করা যৌক্তিক বলে মনে করছে না ডিএসইর পর্ষদ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী শেয়ারবাজারকে গতিশীল রাখার পদক্ষেপের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলার অনুযায়ী বেশ কয়েকটি তফসিলি ব্যাংক ইতোমধ্যে বিনিয়োগ শুরু করেছে। সেজন্য ডিএসই’র পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে তাদেরকে সাধুবাদ জানানো হয়েছে। আর যেসব তফসিলি ব্যাংক বিনিয়োগ কার্যক্রমে এখনও অংশগ্রহণ করেনি, তাদেরকে দ্রুততম সময়ে বিনিয়োগে আহবান জানানো হয়।

বর্তমান করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ সতর্কতার অংশ হিসেবে বিনিয়োগকারীদের মোবাইল ও অনলাইনে লেনদেন করার বিষয়ে উৎসাহিত করছে।

এএস/এসএ

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!