চট্টগ্রামের লক্ষাধিক বাসাবাড়ি পেতে পারে নতুন গ্যাস সংযোগ

দীর্ঘদিন ধরে অচলাবস্থা ও সিদ্ধান্তহীন থাকার পর পাইপলাইনের মাধ্যমে আবাসিকে (বাসা-বাড়ি) গ্যাস সংযোগের বাধা কাটতে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এরই মধ্যে এ ব্যাপারে দিয়েছেন মৌখিক সম্মতিও। ফলে চলতি বছরের মধ্যেই গ্যাস সংযোগ দেওয়া শুরুর জোর সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এতে চট্টগ্রাম অঞ্চলেই কেবল পুরনো ২৫ হাজার আবেদনকারী ছাড়াও আবাসিকে গ্যাস সংযোগ পেতে পারেন লক্ষাধিক গ্রাহক।

২০০৯ সালের ২১ জুলাই থেকে শিল্প ও বাণিজ্যিকে নতুন গ্যাস সংযোগ দেওয়া বন্ধ করা হয়। এরপর ২০১০ সালের ১৩ জুলাই থেকে আবাসিকেও নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করা হয়। ২০১৩ সালের ৭ মে আবাসিকে সংযোগ দেওয়া শুরু হলেও কিছুদিন পরই তা আবার বন্ধ করে দেওয়া হয়।

সারাদেশে ছয়টি সরকারি কোম্পানি গ্যাস বিতরণ করে। এগুলো হলো কর্ণফুলী, তিতাস, পশ্চিমাঞ্চল, জালালাবাদ, বাখরাবাদ ও সুন্দরবন। সারাদেশে বৈধ আবাসিক গ্রাহক ৩৮ লাখ।
এর মধ্যে তিতাস গ্যাসের গ্রাহকই ২৭ লাখ। অন্যদিকে চট্টগ্রামে রয়েছে প্রায় ৬ লাখ আবাসিক গ্রাহক। এছাড়া চট্টগ্রামের ২৫ হাজার গ্রাহকের আবেদন জমা রয়েছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির কাছে।

চট্টগ্রামে প্রায় চার বছর আগে আবেদন করেও আবাসিক সংযোগসহ বর্ধিত চুলায় গ্যাস সংযোগ পাননি এই ২৫ হাজার গ্রাহক। এ নিয়ে কেজিডিসিএল ঠিকাদার ও গ্রাহক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিভিন্ন সময়ে সমাবেশ-অবস্থান ধর্মঘটের মতো কর্মসূচিও পালিত হয়েছে।

জানা যায়, কেজিডিসিএল কর্তৃক অনুমোদন ও চাহিদাপত্র পাওয়ার পর গ্রাহকেরা ব্যাংকের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা জমা করেন। ছোট-বড় ভবন অনুযায়ী একেকজন গ্রাহক সর্বনিম্ন ২৫ হাজার থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত জমা দিয়েছেন। ২৫ হাজার গ্রাহক প্রায় ৩০ কোটি টাকা জমা দিয়েছেন।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আনিছুর রহমান বলেছেন, ‘অনেকে বেশ কয়েক বছর আগে ডিমান্ড নোট জমা দিয়েছিল, এমন একটা ক্যাটাগরি আছে। কিছু আছে ডিমান্ড ইস্যু করা হয়েছিল কিন্তু টাকা জমা হয়নি, কিছু অ্যাপ্লিকেশন ছিল, কিছু আছে অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহার করে যাচ্ছে। এই চার ক্যাটাগরিতে কী সংখ্যক আছে, হয়তো ১০ শতাংশ কম-বেশি হবে। এর সঙ্গে আমাদের পজিশন কী, এই চার ক্যাটাগরিতে সংযোগের ক্ষেত্রে কী পরিমাণ গ্যাস লাগবে, কতজনকে আমরা সংযোগ দিতে পারব, কী পরিমাণ গ্যাসের সংস্থান আমাদের আছে। এগুলো বিবেচনা করে আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!