চট্টগ্রামের লকডাউনে ম্যাজিস্ট্রেট-আর্মি দেখতেও বেরোচ্ছে মানুষ, দ্বিতীয় দিনেই ৮৩ মামলা

‘আমার মায়ে ম্যাজিস্ট্রেট, আর্মি, বিজিবি দেখে নাই। তাই মায়ে বলছে ভিডিও করে নিয়ে যাইতে। তাই ভিডিও করে নিয়ে যাই’— লকডাউনে দেখতে বের হওয়া উৎসুক নগরবাসীর একজনের মন্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমনভাবেই পোস্ট করেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান।

শনিবার (২৪ জুলাই) কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিনে সাধারন জনগণ সরকারি বিধি নিষেধ মানছে কি-না তা দেখতে ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান দায়িত্ব পালন করেছেন চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ ও খুলশী এলাকায়।

জিল্লুর রহমান আরও লিখেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট দেখতে বিভিন্ন অলিতে-গলিতে উৎসুক জনতার দৌড়াদৌড়ি ও ভিড় কিছুটা বেড়ে যায়। কয়েকজন রীতিমতো ছবি ও ভিডিও করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।

‘রাস্তায় কেন বের হওয়া’— এ প্রশ্নের জবাবে তারা জানায়, ম্যাজিস্ট্রেট কেমন, লকডাউন কেমন তা দেখতেই তারা রাস্তায় বের হয়েছেন।

মুঠোফোনে জিল্লুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে তিনি বলেন, এত প্রচার প্রচারণা, জরিমানার পরও নগরবাসীর করোনা সচেতনতায় নজর কম।

চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার মো. রাজিব হোসেন জানান, শনিবার সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ১৮টি টিম মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়েছে। বিকাল ৫টা পর্যন্ত সর্বশেষ পাওয়া তথ্যমতে ৭টি টিম পরিচালিত মোবাইল কোর্টের মোট মামলা সংখ্যা ৮৩টি এবং সর্বমোট অর্থদণ্ড ২৬ হাজার ৫৯০ টাকা। আরও ১১টি মোবাইল কোর্ট টিম কাজ করছে বলে জানান রাজিব হোসেন। তবে মাস্ক না পরে বাসার বাইরে বের হওয়ার অজুহাত প্রতিদিনের মত ছিল আজও।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুমা জান্নাত দায়িত্ব পালন করেছেন সদরঘাটে। তিনি জরিমানা করেছেন ৩ হাজার ২৫০ টাকা। মাস্ক না পরার জন্যই এ জরিমানা করা হয়েছে।

অন্যদিকে ম্যাজিস্ট্রেট জিল্লুর রহমান ১২টি মামলায় ২ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা করেছেন। মূলত জরিমানা করা হয়েছে মাস্ক না পরার জন্য। আর মামলা হয়েছে কঠোর লকডাউনে দোকান খোলা রাখার জন্য।

আইএমই/কেএস

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm