চট্টগ্রামের রেল ট্রেনিং একাডেমির সিটিআরও দপ্তরের তালা ভাঙলেন রেক্টরের অনুমতি ছাড়া
ট্রাক্টর চালিয়েও হয়েছেন সমালোচিত, বদলির সুপারিশ
চট্টগ্রামের রেলওয়ে ট্রেনিং একাডেমির (আরটিএ) চিফ ট্রেনিং কর্মকর্তার (সিটিআরও) বিতর্কিত কাজে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে প্রশিক্ষণার্থী থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তার ‘পাগলামির’ জন্য তাকে অন্যত্র বদলির সুপারিশ করে মহাপরিচালক বরাবরে চিঠিও দেওয়া হয়েছে।
বিতর্কিত সেই চিফ ট্রেনিং কর্মকর্তার নাম আতাউল হক ভূঁইয়া। সম্প্রতি তিনি অফিস সময় শেষ হওয়ার পর সিলগালা করা বন্ধ তালা রেক্টরের অনুমতি ছাড়া ভেঙে অফিসে ঢুকেন। এর আগে রেক্টর দপ্তরে তার ট্রাক্টর চালানোর ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে হাসির খোরাক হন তিনি।
এছাড়া কর্মচারীদের কথায় কথায় শাস্তি, অহেতুক কৈফিয়ত তলব, ডিউটির বাইরে নিজের কাজ করানো, প্রশিক্ষণার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন না করা অভিযোগও রয়েছে আতাউল হক ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে।
এসব কর্মকাণ্ডের জন্য গত ২২ ডিসেম্বর তৎকালীন রেল ট্রেনিংএকাডেমির রেক্টর এসএম মুরাদ হোসেন তাকে বদলির সুপারিশ করে মহাপরিচালক বরাবরে চিঠি দেন।
জানা গেছে, গত ৭ মার্চ সন্ধ্যা ৫টা ৫৮ মিনিটে অফিসের সময় শেষে একাডেমি সিলগালা করে তালাবদ্ধ করা হয়। এরপর আতাউল হক ভূঁইয়া তালা ভাঙার জন্য পিয়ন ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্যকে ডেকে আনেন। তারপর তিনি ইট দিয়ে তালা ভাঙতে বলেন। তালা ভাঙার পর তিনি দপ্তরে প্রবেশ করেন।
কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী, সীলগালা করা তালা খুলতে রেক্টরের অনুমতির দরকার। সীলগালা বন্ধ দপ্তরের তালা ভেঙে প্রবেশ নিষিদ্ধ।
এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন সহকারী ট্রেনিং কর্মকর্তা আতাউর রহমান।
তালা ভাঙার বিষয়ে দপ্তরের পিয়ন মাইন উদ্দিন বলেন, ‘সকাল ৮টায় অফিসে আসি, ৫টা পর্যন্ত ডিউটি হলেও থাকতে হয় রাত ১০টা পর্যন্ত। আমরাতো মানুষ।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওইদিন শবে বরাতের নামাজের জন্য রেক্টরের অনুমতি নিয়ে ৪টায় সমস্ত অফিস সিলগালা করে তালা লাগিয়ে, চাবি জমা দিয়ে বাসায় যাই। আতাউল হক স্যার ফোনে ডেকে আনেন। তিনি তালা খুলতে বললে আমি চাবি জমা দেওয়ার কথা বলি। তখন তিনি আমাকে গালাগালি করে তালা ভাঙতে বাধ্য করেন।’
আরএনবির হাবিলদার আমিন বলেন, ‘ফোনে করে আতাউল স্যার ডাকলে আমি আসি। অফিসাররা ডাকলেতো আসতে হয়।’
তালা ভাঙার বিষয়ে চিফ ট্রেনিং কর্মকর্তা আতাউল হক ভূঁইয়া কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আরএনবি ও পিয়নের উপস্থিতিতে তালা ভেঙেছি। কারণটা আপনি খোঁজ নেন।’
চট্টগ্রাম রেল ট্রেনিং একাডেমির রেক্টর আহম্মেদ মাহবুব চৌধুরী চিঠির মাধ্যমে বদলির সুপারিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
ডিজে