চট্টগ্রামের যুবক ফেসবুকে যৌন উত্তেজক ওষুধ বেচে হাতিয়ে নিচ্ছিল লাখ লাখ টাকা
চট্টগ্রাম থেকে তিনজনকে ধরে নিয়ে গেল যশোরের পুলিশ
চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ির দুই যুবকসহ সংঘবদ্ধ একটি চক্র ফেসবুকে ভুয়া বিজ্ঞাপন দিয়ে যৌন উত্তেজক ওষুধ বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছিল দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপনের ছবি ডাউনলোড করে সেটা এডিট করে নিজেদের মোবাইল নম্বর বসিয়ে বিজ্ঞাপন আকারে সেটা ফেসবুকে ছড়িয়ে ক্রেতাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। শুধু চলতি ফেব্রুয়ারি মাসেই এই চক্রটির বিকাশ নম্বরে লেনদেন হয়েছে ২৩ লাখ টাকা।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই আন্তঃজেলা প্রতারকচক্রের মূল হোতাসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ।
এ সময় বিভিন্ন অপরাধে ব্যবহৃত তাদের ১২টি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, ২২টি বাটন ফোন, ৩টি কম্পিউটার, ৬টি পেনড্রাইভ, একটি ডিভিআর, একটি ডিভিডি রাইটারসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তার এই তিন প্রতারক হলেন— মূল হোতা চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ পাহাড়তলীর মৃত শরীফ হোসেনের ছেলে শাকিল হোসেন, খাগড়াছড়ি মানিকছড়ির জহিরুল আলমের ছেলে শুকুর আলী এবং পাবনার সাঁথিয়ার নুরদহের সালাহউদ্দিন শেখের ছেলে মহিউদ্দিন শেখ নিরব।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে যশোর কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জুয়েল ইমরান জানান, বিভিন্ন নামিদামি প্রতিষ্ঠানের পণ্যের বিজ্ঞাপন ডাউনলোড করে সেখানে নিজেদের মোবাইল নম্বর বসিয়ে অনলাইনে আপলোড দিতো প্রতারকচক্রটি। পরে গ্রাহক তাদেরকে কল করলে তারা নিজেদেরকে সেলস ম্যানেজার পরিচয় দিতেন।
তিনি জানান, চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করে বিকাশের মাধ্যমে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই ছিল তাদের উদ্দেশ্য। পরে আসল পণ্যের পরিবর্তে গ্রাহককে দিতেন ভেজাল পণ্য। এ কাজে তারা ব্যবহার করতেন একাধিক মোবাইল ফোন, সিমসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম। দীর্ঘদিন ধরে তারা এভাবে প্রতারণা করে আসছিল।
জানা গেছে, গত কয়েকদিন ধরে ফেসবুকে প্রতারণার বেশ কয়েকটি অভিযোগ আসে যশোর থানা পুলিশের কাছে। এ সময় অভিযোগ তদন্ত নেমে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত একটি গ্রুপকে শনাক্ত করা হয়। গ্রুপটি যৌন উত্তেজক ওষুধসহ বিভিন্ন ধরনের সামগ্রী বিক্রির নামে প্রতারণা করে আসছিল। তারা গ্রাহকদের কাছ থেকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে টাকা নিয়ে আর পণ্য সরবরাহ করতেন না।
সিপি