চট্টগ্রামের মাদ্রাসায় সুচিন্তার জঙ্গিবাদবিরোধী শিক্ষার্থী সমাবেশ

সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগ আয়োজিত জঙ্গিবাদবিরোধী আলেম ওলামা শিক্ষার্থী সমাবেশ রোববার (২৪ নভেম্বর) চট্টগ্রাম নগরীর আল আমিন বারীয়া কামিল মডেল মাদ্রাসায় সংগঠনের সমন্বয়ক এডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম। প্রধান বক্তা ছিলেন উপ পুলিশ কমিশনার (উত্তর) বিজয় বসাক। বিশেষ অতিথি ছিলেন পাঁচলাইশ জোনের এসি দেবদূত মজুমদার, চান্দগাঁও থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল কালাম। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন চান্দগাঁও ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুদ্দীন খালেদ সাইফ, ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ইমরান। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন যুগ্ম সমন্বয়ক ডা. হোসেন আহমেদ।

সমাপনী বক্তব্য রাখেন সুচিন্তা বাংলাদেশ চট্টগ্রাম বিভাগের যুগ্ম সমন্বয়ক আবু হাসনাত চৌধুরী ও কার্যকরী সদস্য বোখারী আজম। এতে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ মুহাম্মদ ইছমাইল, মাদ্রাসার শিক্ষক মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম পাটোয়ারী, মুহাম্মদ আবুল মনছুর, কাউছার পারভীন। কোরআন তেলাওয়াত করেন মাদ্রাসার ছাত্র শাহাদাত হোসেন। নাতে রাসুল পরিবেশন করেন জাবের আলম।

চট্টগ্রামের মাদ্রাসায় সুচিন্তার জঙ্গিবাদবিরোধী শিক্ষার্থী সমাবেশ 1

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে প্রশ্নোত্তর পর্ব পরিচালনা করেন সুচিন্তা স্টুডেন্টস এন্ড ইয়ুথ উইংয়ের যুগ্ম সমন্বয়ক সৌরভ মুৎসুদ্দী, কার্যকরী সদস্য সুমন মাহমুদ ও রাসেল আহমেদ।

জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া অনুষ্ঠানটি জঙ্গিবাদে না জড়ানোর শপথ ও জয়বাংলা স্লোগানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম বলেন, বর্তমান সরকার ধর্মীয় সম্প্রীতি, জঙ্গিবাদ নির্মুল এবং সহনশীলতা বজায় রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। আমরা বর্তমানে এমন এক বাংলাদেশ বিনির্মাণের পথে এগোচ্ছি যেখানে দারিদ্র্য, অসমতা এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতির পরিবর্তে সামাজিক ন্যায়বিচার এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে,আইন, বিচার ও নিবিড় নজরদারির কারণে বাংলাদেশে জঙ্গিরা সুবিধা করতে পারছে না।

প্রধান বক্তা বিজয় বসাক বলেন, পরিবার-প্রতিষ্ঠান, স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা বিশ্ববিদ্যালয়— সকল সেক্টরে এই জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। কোনো ধর্মই সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস চরমপন্থাকে সমর্থন করে না।

বিশেষ বক্তা অধ্যক্ষ মাওলানা ইসমাইল বলেন, ইসলামের যুদ্ধনীতি প্রতিরক্ষামূলক, আক্রমণাত্মক নয়, এমনকি প্রতিশোধমূলকও নয়। রাসূলুল্লাহ (সা.) কখনও একজন নিরপরাধ মানুষকে প্রকাশ্যে বা গোপনে হত্যা করেননি। শত অত্যাচার ও নির্মম নির্যাতন সহ্য করেও তিনি কখনও কঠোরতা, বাড়াবাড়ি বা গোঁড়ামির পরিচয় দেননি।

সভাপতির বক্তব্যে জিনাত সোহানা চৌধুরী বলেন, তরুণ সমাজকে আমাদের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সাথে একাত্ম করে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। ধর্মের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়িয়ে যুব সমাজকে বিপথে নিয়ে যাওয়ার ষড়যন্ত্র আমাদের সমৃদ্ধি ও শান্তির পথে অন্তরায়। ধর্মের অপব্যাখ্যা রোধে আলেম-ওলামা সহ প্রত্যেক ধর্মের ধর্মগুরুদের এগিয়ে আসতে হবে, সামাজিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!