চট্টগ্রাম নগরীর পলোগ্রাউন্ড মাঠে মহাসমাবেশে স্মরণকালের গণজমায়েত দিতে ব্যাপক প্রস্তুতি নিচ্ছে আওয়ামী লীগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে তাই সাজ সাজ রব শহরের প্রতিটি এলাকায়। ইতোমধ্যে নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে নগরীর বড় বড় সড়কগুলো। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আসছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এক দশক পর চট্টগ্রাম নগরে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। এ উপলক্ষে সমাবেশকে জনসমুদ্রে পরিণত করতে চায় নগর আওয়ামী লীগ।
মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে কেন্দ্রীয় যুবলীগের নেতৃবৃন্দ বর্ধিত সভা করেছেন নগরীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম মহানগর ও প্রত্যেক উপজেলা ছাড়াও চট্টগ্রামের আশপাশের জেলা থেকে সমাবেশে যোগ দেবেন নেতাকর্মী ও সমর্থকরা। সব মিলিয়ে পলোগ্রাউন্ড মাঠ কাণায় কাণায় পূর্ণ হয়ে রাস্তাও ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন নগর আওয়ামী লীগ নেতারা।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আওয়ামী লীগের এ সমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে। চট্টগ্রামের মানুষ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সমাবেশে মানুষের উপস্থিতিই প্রমাণ দেবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি চট্টগ্রামবাসীর ভালবাসা।’
চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, ‘মহাসমাবেশ বিকালে হলেও পলোগ্রাউন্ড মাঠ সকালেই পূর্ণ হয়ে যাবে। বিশেষ করে ১০টার মধ্যে মাঠ পরিপূর্ণ হতে পাবে। তবে মাঠের বাইরেও থাকবে ৫ গুণ বেশি মানুষ। প্রধানমন্ত্রীর চট্টগ্রামের মহাসমাবেশ হবে স্মরণকালের সেরা সমাবেশ। এ সমাবেশ উপলক্ষে জেলা ও উপজেলা থেকে নগরীতে আসবে প্রায় ২৫ লাখ মানুষ। পুরো শহরই হয়ে যাবে পলোগ্রাউন্ড মাঠ।’
প্রধানমন্ত্রীর মহাসমাবেশ নিয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ সালাম বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ ঋতুচক্রের সঙ্গে উন্নয়নের কথাও ভুলে যায়। বিগত ১৪ বছর ধরে চট্টগ্রামের দায়িত্ব নিয়ে উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু চট্টগ্রামের মানুষ সেটি ভুলে গেছে। মূলত মানুষকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যই আমাদের এ সমাবেশ।’
চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমেদ এমপি বলেন, ‘আগামী ৪ ডিসেম্বর পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশ। কিন্তু এখন থেকেই প্রত্যেক উপজেলায় ও মহানগরে আওয়ামী লীগের অঙ্গসংগঠনগুলো ব্যাপক চাঙ্গা হয়ে গেছে। সমাবেশে কোন এমপি বা কোন নেতা কত বেশি মানুষ আনতে পারবেন, সেই প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। পলোগ্রাউন্ডের এ সমাবেশ হবে বিএনপি-জামায়াতকে হুশিয়ারির সমাবেশ।’
মহাসমাবেশে যোগদান উপলক্ষে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলামের পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন করেছেন। তিনি বলেন, ’ প্রধানমন্ত্রীর প্রোগ্রামে চট্টগ্রামের সব জেলার নেতাকর্মী-সমর্থকদের মিলনমেলা হবে। নেত্রীকে দেখার জন্য নারী-পুরুষসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষের উপস্থিতি ঘটবে এ মহাসমাবেশে।’
এদিকে গত সোমবার চট্টগ্রাম উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে সার্কিট হাউসে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ, উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ যৌথভাবে সমাবেশ করেছে। চট্টগ্রামের প্রত্যেক উপজেলায়, মহানগর ও ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভা করছে। আগামী ৪ ডিসেম্বর উপলক্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর প্রত্যেক সড়ক, সড়কের মোড়, ফ্লাইওভারসহ জনবহুল এলাকায় নেতাকর্মীদের পোস্টার-ব্যানারে চেয়ে গেছে।
ডিজে