মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিয়োগ পেয়েছেন ফারুক-ই-আজম বীরপ্রতীক। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এর আগে সকালে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের কাছে শপথ নেন তিনি।
মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বীরপ্রতীক উপাধি পাওয়া ফারুক-ই-আজমের বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে। তিনি ১৯৫০ সালে হাটহাজারী উপজেলার ফরহাদাবাদ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।মুক্তিযুদ্ধের একমাত্র সমন্বিত যুদ্ধাভিযান ‘অপারেশন জ্যাকপটের’ উপ-অধিনায়ক ছিলেন ফারুক-ই-আজম। ১৯৫০ সালে জন্ম নেওয়া ফারুক-ই-আজম পরে চট্টগ্রাম নগরীর মেহেদিবাগ সড়কে তিনি স্থায়ী আবাস গড়ে তোলেন। তিনি ও তার স্ত্রী শামীমা ফারুক চট্টগ্রামের প্রথম ফ্যাশন হাউস ‘রমণীয়া’ গড়ে তোলেন।
প্রধান উপদেষ্টার অধীনে ২৫টি মন্ত্রণালয় এবং বিভাগ ছিল। এখন আরও একটি মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টার অধীনে মন্ত্রণালয় এবং বিভাগের সংখ্যা ২৪টি হলো।
গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনা দেশ ছাড়েন। এরপরই বিলুপ্ত হয় মন্ত্রিসভা। পরদিন ৬ আগস্ট দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দেন রাষ্ট্রপতি।
এরপর গত ৮ আগস্ট শপথ নেয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা শান্তিতে নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এছাড়া রয়েছেন ১৬ জন উপদেষ্টা। ঢাকা ও দেশের বাইরে থাকায় ৮ আগস্ট ফারুক-ই-আজমসহ তিনজন উপদেষ্টা শপথ নিতে পারেননি।
এরপর গত শুক্রবার (৯ আগস্ট) শপথ নেওয়া প্রধান উপদেষ্টা এবং অন্য উপদেষ্টাদের দপ্তর বণ্টন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
শপথ নিতে না পারা তিনজনের মধ্যে সর্বশেষ গত রোববার উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা ও বিধান রঞ্জন রায় শপথ নেন। ফারুক-ই-আজম বিদেশ থেকে ফেরার পর আজ শপথ নিলেন।
সরকারে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ছয়জন
অন্তর্বর্তীকালীন এই সরকারে স্থান পেয়েছেন বৃহত্তর চট্টগ্রামের ছয় কৃতী সন্তান। এরা হলেন— অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নূর জাহান বেগম, হাটহাজারীর সন্তান ফারুক-ই আজম বীরপ্রতীক, চন্দনাইশের ফরিদা আখতার, সাতকানিয়ার সন্তান ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের খাগড়াছড়ি জেলার সুপ্রদীপ চাকমা।