চট্টগ্রামের দুই ল্যাবে পরীক্ষাকাণ্ড—শেভরনে করোনা পজিটিভ, চমেকে নেগেটিভ!
বৃদ্ধার মৃত্যুর কারণ জানলো না স্বজনরা
চট্টগ্রামে আবারও একজন রোগীর করোনা নমুনা পরীক্ষার ফলাফল দুই ল্যাবে এলো দুরকম। একদিনের ব্যবধানে নেওয়া করোনা পরীক্ষা নমুনার ফলাফলে চট্টগ্রাম নগরীর বেসরকারি ল্যাব শেভরন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে করোনা ‘পজিটিভ’ আর চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ল্যাবে আসে ‘নেগেটিভ’। এরইমধ্যে সেই বৃদ্ধা মারা গেলেও মৃত্যুর সঠিক কারণ এখনো অজানা স্বজনদের। এর আগে গত ২৮ জুন একজনের করোনা রিপোর্ট দুই ল্যাবে এসেছিল দুরকম। সেখানেও ছিল শেভরনের নাম। সেবার শেভরনে নমুনার পরীক্ষার ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসলেও নগরীর আরেকটি বেসরকারি ল্যাব ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে এসেছিল ‘নেগেটিভ’।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (চমেক) ২৫ জুন রোগীর কাছ থেকে যে নমুনা নিল তার রিপোর্ট ৫ জুলাই এলো করোনা নেগেটিভ। আবার শেভরন ক্লিনিক লিমিটেড পরদিন (২৬ জুন) নমুনা নিয়ে গেল। ২৭ জুন সে ফলাফলে এলো রোগীর করোনা পজিটিভ।
এর ফলে এই রোগীর করোনা হয়েছিল নাকি হয়নি- তা সঠিকভাবে জানার সুযোগই হল না স্বজনদের। করোনা নেগেটিভ নাকি পজিটিভ সে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার দোলাচলের মাঝেই মঙ্গলবার (৭ জুলাই) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ৮৫ বছরে বৃদ্ধা রুম্পা বড়ুয়া।
তিনি লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বানেশ্বর বড়ুয়ার স্ত্রী। তার সন্তান সুকুমার বড়ুয়া পেশায় একজন ব্যাংকার।
সুকুমার বড়ুয়া জানান, তার মা প্রায় একমাস ধরেই অসুস্থ ছিলেন। গত ২৩ জুন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাকে ভর্তি করানো হয়। করোনা উপসর্গ দেখা দিলে ২৫ জুন পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
২৬ জুন শেভরন ক্লিনিকে পরীক্ষার জন্য নমুনা দেওয়া হয়। ২৭ জুন শেভরনের পরীক্ষায় করোনা পজেটিভ সনাক্ত হয়। কিন্তু চমেক হাসপাতাল নমুনা সংগ্রহের ১০ দিন পর ৫ জুলাই করোনা পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করে নেগেটিভ।
এর দুই দিন পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জুলাই রাত আড়াইটার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রুম্পা বড়ুয়া।
রুম্পা বড়ুয়ার স্বজনদের কয়েকজন অভিযোগ করেন, ‘দুই ল্যাবে দুই ধরণের ফলাফল এলো। অথচ একদিনের ব্যবধানেই নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল দুই ল্যাবে। আমরা জানতেই পারলাম না রুম্পা বড়ুয়া করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন কিনা। হাজারো মানুষ যে করোনা পরীক্ষা করাচ্ছে সেগুলোর উপর আমরা কিভাবে আস্থা রাখবো।’
এমএফও