চট্টগ্রামের থানায় পিতৃহারা যুবককে অকথ্য নির্যাতন, পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত গেছে দুদিন
‘ওসি স্যারের সঙ্গে আর বেয়াদবি করবি?’
চট্টগ্রাম মেডিকেলে মায়ের ডায়ালাইসিস করাতে গিয়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের অভাবনীয় রোষের শিকার সৈয়দ মুস্তাকিমকে কোনো রিমান্ড ছাড়াই পুলিশি হেফাজতেই নির্মমভাবে অত্যাচার করা হয়। পাঁচলাইশ থানার একটি রুদ্ধদ্বার কক্ষে হাতে-পায়ে পেটানো ছাড়াও পুলিশ তার পুরুষাঙ্গে আঘাত করে। টানা দুদিন তার পুরুষাঙ্গ দিয়ে রক্ত ঝরেছে। এমনকি মুখে দাড়ি থাকায় কটুক্তি করেও তাকে পেটানো হয়। থানায় পুলিশের নির্যাতনে মুস্তাকিমের দুই পায়ের মাংসে এরই মধ্যে পচন ধরে গেছে।
চট্টগ্রাম মেডিকেলে মায়ের ডায়ালাইসিস করাতেন সৈয়দ মুস্তাকিম। হঠাৎ ডায়ালাইসিসের ফি বাড়ানোর প্রতিবাদ করেন রোগী ও রোগীর স্বজনরা। এই আন্দোলনে যোগ দেন তিনি। এর মধ্যে মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনের সড়ক অবরোধের একপর্যায়ে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের একদল সদস্য বিক্ষোভকারী রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর চড়াও হয়। সেখান থেকে মুস্তাকিমকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচলাইশ থানায়। এই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মুস্তাকিমের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় ৫০ থেকে ৬০ জন কিডনি রোগীর স্বজনকে আসামি করে মামলা করে। এরপর পাঁচদিন কারাগারে থাকতে হয় মুস্তাকিমকে।
রোববার (১৫ জানুয়ারি) জামিনে মুক্ত হন মুস্তাকিম। তার বাবা মারা গেছেন। মা কিডনি রোগী। এক বোন প্রতিবন্ধী। ফটিকছড়ি তার গ্রামের বাড়ি হলেও তিনি হাটহাজারীর একটি ভাড়া বাসায় মাকে নিয়ে থাকেন।
জামিনে বেরিয়ে আসার পর সাংবাদিকদের কাছে থানার ভেতরে পুলিশি নির্যাতনের বর্ণনা দেন তিনি। বন্দিকে নির্যাতনের এমন ঘটনায় মানবাধিকারকর্মী ছাড়াও বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পুলিশের ঊর্ধতন কর্মকর্তা ও আইনজীবীরা। তারা বলছেন, পুলিশের হেফাজতে থাকা বন্দিকে নির্যাতনের কোনো সুযোগ নেই। এটা রীতিমতো অপরাধ।
দাড়ি নিয়ে কটুক্তি, এরপরই চলে নির্মম প্রহার
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেলের প্রধান ফটক থেকে দুপুর ১টার দিকে আটক করার পর মুস্তাকিমকে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচলাইশ থানায়। রাত ১টা পর্যন্ত তার কিডনি রোগী মা একমাত্র অবলম্বন সন্তানকে ছাড়িয়ে নেওয়ার আশায় পাঁচলাইশ থানায় ছিলেন। মা থানা থেকে বের হয়ে আসার পরপরই মুস্তাকিমকে নিয়ে যাওয়া হয় পাঁচলাইশ মডেল থানার একটি ‘টর্চার সেলে’। ওইদিন রাত দেড়টার দিকে তাকে নির্যাতন করা শুরু হয়।
মুস্তাকিম বলেন, ‘প্রথমে সাধারণ সেলে রাখা হলেও ঘণ্টাখানেক পর এক পুলিশ সদস্য এসে আলাদা একটি রুমে আমাকে নিয়ে যান। যেখানে আমি ছাড়া আরও কয়েকজন পুলিশ ছিল। প্রথমেই ওরা আমার দাড়ি দেখে জানতে চায়, আমি জামায়াত-শিবিরের লিডার কিনা? আমি বলি না। তারপর ওরা আবার বলে, তাহলে দাড়ি এত বড় কেন? এটা তো শিবিরের দাড়ি। তখন আমি বলি, আমাকে কিছু এনে দেন; আমি দাড়িটা কেটে ফেলি। এটা বলার পরপরই একটি কালো লাঠি দিয়ে আমাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারতে থাকে। ওরা এমনভাবে মারছিল যে, কোথায় আঘাত লাগছে সেটাও দেখছিল না।’
জানা গেছে, মুস্তাকিম ‘জামায়াত-শিবিরবিরোধী’ হিসেবে পরিচিত ইসলামী ছাত্রসেনার চট্টগ্রাম নগরের ১ নম্বর পাহাড়তলী ওয়ার্ড শাখার আহ্বায়ক। তিনি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গাউসিয়া কমিটির সঙ্গেও যুক্ত রয়েছেন।
মুস্তাকিম বলেন, লাঠির মারে কোমরের নিচ থেকে পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত লাঠির আঘাতে লাল হয়ে যায়। উরু ও পায়ে মারার পর যখন আর যন্ত্রণা সহ্য করতে পারছি না, এরপর হাত দিয়ে আমার উরু বাঁচাতে যাই; তখন হাতে মারা শুরু করে।
পেটানোর সময় এক পুলিশ বারবার বলছিল, ‘ওসি স্যারের সঙ্গে আর বেয়াদবি করবি?’
টানা দুদিন রক্ত গেছে পুরুষাঙ্গ দিয়ে
মুস্তাকিম বলেন, ‘তারা এতটাই অমানবিক যে, আমার পুরুষাঙ্গেও আঘাত করে। যখন আমি অনেকটা অজ্ঞানের মতো হয়ে যাই, তখন আমাকে আবার আগের সেলে নিয়ে যায়। পুরুষাঙ্গের ব্যথায় আমি দু’দিন প্রস্রাব করতে পারিনি। রক্তও যায় পুরুষাঙ্গ দিয়ে।’
‘তোরে রাতে আবার সাইজ করবো’
মুস্তাকিম বলেন, যখন যন্ত্রণায় ফ্লোরে শুয়ে মুক্তির ক্ষণ গুনছি, তখন এক পুলিশ এসে বলে—‘রেস্ট নে, তোরে রাতে আবার সাইজ করবো।’
তিনি বলেন, ‘শারীরিক যন্ত্রণার পাশাপাশি পুলিশের এমন মানসিক যন্ত্রণা কিছুতেই সহ্য করতে পারছিলাম না। যদিও সেদিন রাতে আর মারেনি আমাকে।’
খেতে দেয়নি ব্যথার ওষুধও
মুস্তাকিম বলেন, ‘সারাদিন নির্যাতনের পর আমি রাতে অসুস্থবোধ করি। তখন আমাকে একটি গাড়িতে করে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে যায়। ডাক্তার দেখানোর পর আমাকে রুমের বাইরে নিয়ে আসে। একজন পুলিশ ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলে ওষুধ নিয়ে চলে আসে। আমাকে ডাক্তারের সঙ্গে কোনো কথা বলতে দেয়নি। থানায় নিয়ে আসার পর যখন প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করছি, তখনও আমাকে কোনো ওষুধ খেতে দেয়নি ওরা। হয়ত মরে যাবো কি-না সেই ভয়েই হাসপাতালে নিয়ে গেছে।’
‘বলবা, তোমাকে কেউ মারেনি’
জামিন পাওয়ার পর মোবাইল আনতে মা-বোনসহ পাঁচলাইশ থানায় যান মুস্তাকিম। ওই সময় ওসি যথেষ্ট আপ্যায়ন এবং ভালো নাস্তা খেতে দেন বলে জানান মুস্তাকিম।
মুস্তাকিম বলেন, ‘নাস্তা খাওয়ার পর দেখি, কোন একটা টিভি চ্যানেলের সাংবাদিক ক্যামেরা নিয়ে আসছে। জিজ্ঞেস করছে আমাদের কেউ নির্যাতন করেছে কি-না। এর আগে ওসি এবং ক্যামেরাম্যান আমাদের বলে দিয়েছে, ‘বলবা কেউ মারেনি’। তাই আমরা বাধ্য হয়ে ওসির শেখানো কথামতো মিথ্যা জবানবন্দি দিই।’
কেন মিথ্যা বলতে গেলেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে মুস্তাকিমের মা বলেন, ‘কী করব বাবা? ওরা ৭-৮ জন পুলিশ আমাদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, তখন থানা থেকে বের হওয়াটাই ফরজ হয়ে দাঁড়াইছে আমাদের জন্য। যদি ওদের কথা মতো না বলি, তখন যদি আবার আমার ছেলেকে মারে? সেই ভয়ে মিথ্যা বলতে বাধ্য হয়েছি।’
ঘটনা তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি
মুস্তাকিমকে গ্রেপ্তার ও আন্দোলনে পুলিশের ভূমিকা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ (সিএমপি)। ১৪ জানুয়ারি এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও সোমবার বিষয়টি জানানো হয়। সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) মাহতাব উদ্দীনকে প্রধান করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপ-কমিশনার (উত্তর) আলী হোসেন ও অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল খালেক রাখা হয়েছে কমিটিতে। কমিটিকে সাতদিনের মধ্যে ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
যা বলছেন পুলিশ-আইনজীবীরা
মুস্তাকিমের আইনজীবী ও বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মুস্তাকিমের সঙ্গে যে ঘটনা ঘটেছে, তা সম্পূর্ণ বেআইনি। পুলিশ কখনও আসামির গায়ে হাত তুলতে পারে না। পুলিশের কাজ আসামিকে আটক করে আদালতে পাঠানো, আদালতই তার বিচার করবেন। পুলিশকে কেউ বিচার করার অধিকার দেয়নি। কিন্তু অনেক সময় পুলিশের কিছু অতি উৎসাহী সদস্য এমন কাজ করে বসেন, যার কারণে ‘ইমেজ সংকটে’ পড়ে ইউনিটটি।’
একই কথা বলেছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও। পুলিশ হেফাজতে নির্যাতন করার আইন আছে কি-না, এমন প্রশ্নের উত্তরে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের সহকারী উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘না, ওই রকম কোনো আইন নেই। আর পুলিশ আসামিকে মারতে যাবেইবা কেন? পুলিশকে আসামি নির্যাতনের কোনো নির্দেশ দেওয়া হয় না।’
মুস্তাকিমের বিষয়টি উল্লেখ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমি যেহেতু ঘটনাস্থলে ছিলাম না, তাই বিষয়টা ঠিক বলতে পারছি না। আপনি ওসির সঙ্গে কথা বলতে পারেন এই বিষয়ে।’
এই বিষয়ে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন মজুমদারকে একাধিকবার ফোন করা হলেও প্রথমে তিনি সংযোগ কেটে দেন। পরে কল দিলে তিনি রিসিভ করেননি।
তদন্ত রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হলে ওসির বিরুদ্ধে মামলা
মুস্তাকিমের ওপর নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে কি-না জানতে চাইলে ভুক্তভোগীর আইনজীবী জানান, ‘পুলিশ তো তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। ওদের তদন্ত রিপোর্ট দেখি, যদি সন্তোষজনক না হয় তবে ওসির বিরুদ্ধে মামলা করবো।’
তদন্ত চেয়ে পুলিশ প্রধানের কাছে আবেদন
অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বলেন, ‘যেহেতু নির্যাতনের ঘটনাস্থল পাঁচলাইশ থানা এবং মুস্তাকিমের মামলার তদন্তও একই থানায়। আমরা মনে করছি, মুস্তাকিমের ওপর মিথ্যা যে অভিযোগ আনা হয়েছে; তার তদন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই আমরা পুলিশ প্রধানের কাছে লিখিত আবেদন জানিয়েছি যে, মুস্তাকিমের মামলার তদন্তভার যেন অন্য কোথাও দেওয়া হয়।’
ওসি নাজিমের বিরুদ্ধে একের এক অভিযোগ
গত মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম মেডিকেলে কিডনি ডায়ালাইসিসে বর্ধিত ফি প্রত্যাহার না করায় বিক্ষোভকারী একজনকে মারতে মারতে পাশের এপিক হেলথের ভেতরে নিয়ে যান পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিমসহ কয়েকজন পুলিশ। সেখানে এক নারী কিডনি রোগীকে লাথি মেরে নিচে ফেলে দেন ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার। ঘটনার প্রতিবাদ করায় আরেক কিডনি রোগীকে কলার ধরে মারতে থাকেন ওসিসহ কয়েক পুলিশ সদস্য। মারধরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ওই রোগীকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এ ঘটনায় নিন্দার ঝড় ওঠে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
বিতর্কিত নানা ঘটনায় সমালোচিত চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ মডেল থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার এর আগে আরও এক অস্বাভাবিক এক ঘটনার জন্ম দিয়ে আলোচনায় আসেন। এক মামলাতে এজাহারই জমা নেয়নি পাঁচলাইশ থানা। অথচ এজাহার ছাড়া মামলা দায়েরের সুযোগই নেই। এমন অস্বাভাবিক ঘটনায় শেষপর্যন্ত আদালতের কাছে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন ওসি নাজিম।
তারও আগে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জমিতে বালু ভরাটে ভূমিদস্যু চক্রকে সহযোগিতার অভিযোগ উঠে খোদ পাঁচলাইশ থানার ওসি নাজিম উদ্দিন মজুমদার ও এসআই মো. ইলিয়াছের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় গত ১৮ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী চট্টগ্রাম নগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বরাবরে ওসি-এসআইসহ সাতজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন।
এছাড়া চট্টগ্রাম নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় দিনরাত মাদক থেকে জুয়া, ছিনতাই থেকে যৌনবাণিজ্যে পাঁচলাইশ থানা পুলিশের জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে। স্থানীয়রা জানান, পুলিশের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা থাকায় মাদক ব্যবসায়ীরা রেলস্টেশনে সুযোগ বুঝে ছিনতাইয়েও জড়িয়ে পড়ছে।
মানবাধিকারকর্মীদের শঙ্কা
এদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ডায়ালাইসিস সেবা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের ওপর হামলার পর পুলিশের ‘মিথ্যা’ মামলায় ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। তারা ন্যায়বিচারের স্বার্থে পুলিশকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো সংস্থাকে দিয়ে তদন্তের দাবি করেছেন।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের (বিএইচআরএফ) চেয়ারপারসন অ্যাডভোকেট এলিনা খান ও মহাসচিব অ্যাডভোকেট জিয়া হাবীব আহসান বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
গত সপ্তাহে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে ডায়ালাইসিস রোগী ও স্বজনদের হয়রানি, নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দায়েরের গুরুতর অভিযোগ ওঠে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওই ওসির অধীনে মামলাটির সঠিক তদন্ত হওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। কারণ মামলার বাদী, তদন্ত কর্মকর্তা, এমনকি সাক্ষীও পুলিশ। তাই মামলাটি সিআইডি, ডিবি, পিবিআই, র্যাব অথবা অন্য যে কোনো তদন্ত সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করা প্রয়োজন।
ডিজে/সিপি