চট্টগ্রামের তরুণী পর্নো ভিডিও তৈরির চক্রে, আরও চারজন ধরা বগুড়ায়
ভিডিও ছাড়া হতো বাংলাদেশে নিষিদ্ধ দুটি পর্নোসাইটে
চট্টগ্রামের এক তরুণীসহ বগুড়াভিত্তিক একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে নিজেরা একে অপরের সঙ্গে যৌনমিলন করে সেই ভিডিও প্রকাশ করে আসছে বিভিন্ন পর্নো সাইটসহ ফেসবুকেও। আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চক্রটি এই কাজ করে আসলেও শেষ পর্যন্ত তাদের ধরা পড়তে হল র্যাবের হাতে।
সোমবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বগুড়ার দুই জায়গায় অভিযান চালিয়ে পর্নোগ্রাফি তৈরির সরঞ্জাম ও ২ নারীসহ ৫ জনকে আটক করেছে সিরাজগঞ্জ র্যাব-১২ এর সদস্যরা। সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে বগুড়ার জলেশ্বেরীতলা ডেকান্স টাওয়ারের ১০ম তলার ১০-এর ডি ফ্ল্যাট এবং সুত্রাপুরের রানী মহলের পঞ্চম তলার পশ্চিম পাশের ফ্লাটে পৃথক অভিযান চালায় র্যাব সদস্যরা।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা র্যাবের কাছে জানিয়েছে, নিজেরা পর্নোগ্রাফি ভিডিও বানিয়ে সেই ভিডিও ও স্থিরচিত্র প্রকাশ করে আসছিল বিভিন্ন পর্নো সাইটসহ ফেসবুকে। এর মধ্যে বাংলাদেশে বিটিআরসি কর্তৃক নিষিদ্ধ হওয়া দুটি পর্নোসাইটও রয়েছে।
পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির এই চক্রে রয়েছেন চট্টগ্রামের এক তরুণীও। তিনি হলেন চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার কোটবাড়ি গ্রামের রুম্পা আক্তার (২৪)। অপর নারী হলেন সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার ঘুড়কা বেলতলার সাথী খাতুন (২০)।
গ্রেপ্তার অন্যরা হলেন— নওগাঁ জেলার রানীনগর থানার কালিগ্রামের মৃত হাবিবুর রহমানের ছেলে আতাউর রহমান রানা (৪০), বগুড়ার সাপগ্রামের ঘুটু প্রামাণিকের ছেলে স্বপন (৩৯) এবং আদমদিঘী থানার কয়াকুন্ট গ্রামের আবুল কালাম আজাদের ছেলে হানিফ প্রামাণিক (২৫)।
সোমবার রাতের অভিযানে তাদের কাছ থেকে পর্নোগ্রাফি ভিডিও তৈরির কাজে ব্যবহৃত ২টি ল্যাপটপ, ২টি পেনড্রাইভ, ২টি আলোকসজ্জা লাইট, ১টি যৌন উত্তেজক ভাইব্রেশন যন্ত্র, ১টি সাউন্ড বক্স, ১টি বেল্টযুক্ত প্লাস্টিকের কৃত্রিম পেনিস, ১টি চার্জার ব্যাটারি, ২টি এলইডি লাইট, ৮টি মোবাইল ফোন, ১৫ পিস ইয়াবা এবং পর্নোগ্রাফি তৈরি সংক্রান্ত নিয়োগের ১৫ পাতার শর্তাবলী চুক্তিনামা কাগজপত্র জব্দ করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ ও মাদক আইনে মামলা দায়েরের পর উদ্ধার করা আলামতসহ মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সকালে তাদের বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করেছে র্যাব।
সিপি