বিয়ের লোভ দেখিয়ে চট্টগ্রাম থেকে এক তরুণীকে হবিগঞ্জে নিয়ে গিয়ে দলবেঁধে ধর্ষণ করে কথিত প্রেমিকসহ একদল দুর্বৃত্ত। এরপর ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে সেই মেয়েটিকে ফেলে রেখে ধর্ষকের দল পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটি বাদি হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হলেন হবিগঞ্জের এক ইউপি সদস্যসহ আরও তিনজন।
এ ঘটনায় সর্বশেষ বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) রাতে দলবেধে ধর্ষণের অভিযোগে হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. নূরধন মিয়াকে (৩৫) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। র্যাব শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান ও সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল নোমান তাকে মাধবপুর উপজেলার কালিকাপুর থেকে আটক করেন। সন্ধ্যায় তাকে থানায় সোপর্দ করা হলে পুলিশ নূরধন মিয়াকে গ্রেপ্তার দেখায়।
পুলিশ জানিয়েছে, দুই মাস আগে মাধবপুর উপজেলার বাঘাসুরা ইউনিয়নের রিয়াজনগর গ্রামের মৃত মলাই মিয়ার ছেলে বিল্লাল মিয়ার (৩০) সঙ্গে চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার দেওয়াননগর গ্রামের এক তরুণীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৬ মার্চ মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে বিল্লাল শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুলে নিয়ে আসেন বিল্লাল।
ওইদিন বিল্লাল বন্ধুদের নিয়ে মেয়েটিকে দলবেঁধে ধর্ষণ করেন। পরে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে মেয়েটিকে ফেলে রেখে অভিযুক্তরা পালিয়ে গেলে স্থানীয়রা মেয়েটিকে হাসপাতালে নিয়ে যান।
পরে মেয়েটি বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এরপর বিল্লাল মিয়া, মাধবপুর উপজেলার তাজপুর গ্রামের মৃত মধু মিয়ার ছেলে রফিক মিয়া (৩০) ও শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ বড়চর গ্রামের মৃত ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মামুন মিয়াকে (২৫) গ্রেপ্তার করা হয়।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক জানান, নির্যাতনের শিকার নারী দুই সন্তানের মা।
সিপি