চট্টগ্রাম নগরীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতাকে এলোপাতাড়ি মারধরে জড়িত যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সাদ্দামকে ধরেছে র্যাব। তিনি বাকলিয়া এলাকার যুবলীগ নেতা।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে র্যাব-৭ নিশ্চিত করে, মঙ্গলবার চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড থানার ফৌজদারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব সূত্রে জানা গেছে, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নগরীর কোতোয়ালী এলাকায় অবস্থান করছিলেন মোহাম্মদ ইব্রাহিম (১৯)। ওই সময় বাকলিয়ার যুবলীগ নেতা সাদ্দামসহ আরও ২৫-৩০ জন দেশীয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী ওই এলাকার জুবলী রোডের আমতল মোড় সংলগ্ন অপর্ণাচরণ স্কুলের সামনে পাকা রাস্তার ওপর অবস্থান নিয়ে ইব্রাহিমকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
পরবর্তীতে কিছুটা সুস্থ হয়ে ৪ আগস্টের ঘটনায় ইব্রাহিম বাদি হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানায় সাদ্দামসহ ৮ জন এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করে গত ৩০ আগস্ট ও ৫ সেপ্টেম্বর দুটি মামলা করেন।
এ বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ওসি ফজলুর কাদের চৌধুরী জানান, গ্রেপ্তার আসামিকে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে আদালতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী কিশোর গ্যাং নেতা ওই সন্ত্রাসীর নাম মোহাম্মদ মিজানকে (৩৩) গ্রেপ্তার করে র্যাব। গত ১৭ ও ১৮ জুলাই চট্টগ্রাম নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজার এলাকায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলি ছোঁড়েন মিজান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই সময় অস্ত্র হাতে তার ছবি ছড়িয়ে পড়ে।
চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার ব্রাহ্মণপাড়া আবুল কালামের কলোনি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে সাতটি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ১ হাজার ২০০ ইয়াবা ও ১টি ছুরি উদ্ধার করা হয়েছে।