চট্টগ্রামের বায়েজিদ বোস্তামি থানার সাবেক উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. নবী উল্লাহর ঘুষ গ্রহণের মামলায় এক বছরের দণ্ড বহাল রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
দণ্ডের বিরুদ্ধে নবী উল্লাহর করা আবেদন খারিজ করে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ এ রায় দেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে বাড়ি উদ্ধারে সিএমপি কমিশনারের কাছে লিখিত আবেদন করেন কুলগাঁও এলাকার বাসিন্দা কেয়া কবির। পরে কমিশনারের নির্দেশ অনুযায়ী বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পান বায়েজিদ থানার তৎকালীন এসআই নবী উল্লাহ। তদন্তের এক পর্যায়ে বিষয়টি মীমাংসার জন্য ওই পুলিশ কর্মকর্তা কেয়ার কাছে তিন লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন।
পরে ঘুষ দাবির বিষয়টি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চট্টগ্রাম কার্যালয়ে জানানো হলে ওই এসআইকে হাতেনাতে ধরার ফাঁদ পাতা হয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী ২০০৮ সালের ৮ সেপ্টেম্বর নগদ ২০ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল নেওয়ার সময় সিঙ্গারের শো-রুম থেকে হাতেনাতে নবী উল্লাহকে আটক করেন দুদক কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তারের পর তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়। ২০০৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নবী উল্লাহকে আসামি করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
২০১২ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বিচার শেষে চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালত এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে দুই ধারায় দুই বছরের দণ্ড দেওয়া হয় এসআই নবী উল্লাহকে। পাশাপাশি অর্থদণ্ডও করা হয় তাকে। দুই দণ্ড একসাথে চলবে বলেও রায় দেন আদালত। সেই অনুসারে তার দণ্ড দাঁড়ায় এক বছর।
এসআই নবী উল্লাহ পরে হাইকোর্টে আপিল করেন। যা খারিজ হয়ে যায়। এর বিরুদ্ধে নবী উল্লাহ আপিল বিভাগের দ্বারস্থ হন। শুনানি শেষে আপিল বিভাগ তার সবশেষ আবেদনও খারিজ করে দিলেন।
তবে নবী উল্লাহর আইনজীবী অ্যাডভোকেট সাঈদ আহমেদ রাজা জানিয়েছেন, ‘এই রায় পুনর্বিবেচনার জন্য রিভিউ আবেদন করা হবে। আমার মক্কেল এখন জামিনে আছেন, তিনি এর আগে ৯ মাসের কারাভোগ করেছেন। তাই তাকে ফের আদালতে আত্মসমর্পণের প্রয়োজন নেই। আমরা আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে রিভিউ পিটিশন দাখিল করব— যাতে জরিমানা দিতে না হয়।’
অন্যদিকে এ মামলায় দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আসিফ হোসেন।
সিপি