চট্টগ্রামের আতিথেয়তার প্রশংসা করে কাঁকড়া খেতে চেয়েছেন বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য। আরেক বিচারক ইমন চক্রবর্তী খেতে চেয়েছেন বাঁটা শুঁটকি। ভারতের জনপ্রিয় রিয়্যালিটি শো ‘জিবাংলা সারেগামাপা’তে এবারের সিজনে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিযোগী চট্টগ্রামের ছেলে শুভ দাশের কাছে এসব আবদার করেন তারা।
এছাড়া বিচারক রাঘব চ্যাটার্জী ও মনোময় ভট্টাচার্য্য শুভর কাছে পদ্মার ইলিশ খেতে চেয়েছেন।
শনিবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় প্রচারিত সারেগামাপার এবারের সিজনের ১১তম পর্বে চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ছেলে শুভর গান পরিবেশনের আগে এসব আবদার করেন বিচারকরা।
এ সময় সারেগামাপার সঞ্চালক অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায় ছুটিতে দেশে গেলে সঙ্গে করে মাকে নিয়ে আসার আমন্ত্রণ জানান শুভকে। এরপর আবীর জানতে চান মায়ের সঙ্গে আর কি কি আনবেন?
এরপর বিচারকদের মধ্য থেকে ইমন চক্রবর্তী চট্টগ্রামের বাটা শুঁটকির তরকারি খেতে চান শুভর কাছে। শুভকে উদ্দেশ্য করে তিনি বললেন, ‘আমার জন্য একবাটি বাটা শুঁটকির তরকারি আর কাঁচা শুটকি নিয়ে আসিস।’
ইমনের আবদারের পর চট্টগ্রামে কাঁকড়া ভর্তা খেতে চেয়ে বিখ্যাত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রীকান্ত আচার্য বলেন—‘আমি একবার চট্টগ্রামে গিয়ে কাঁকড়া ভর্তা খেয়েছি। যার স্বাদ এখনো মুখে লেগে আছে। এই স্বাদ কখনোই ভুলবো না।’
এছাড়াও সারেগামাপার মঞ্চে ও দর্শকসারির সকলকে উদ্দেশ্যে করে তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা যারা ভবিষ্যতে চট্টগ্রামে যাবেন, তারা খুঁজে একবার এই কাঁকড়ার ভর্তা খাবেন।’
তবে এ সময় চট্টগ্রামের মানুষের আতিথেয়তার প্রশংসা করেন ভারতীয় বাংলা সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা আবীর চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রামের মানুষ একদম মনের ভেতর থেকেই অতিথিদের আপ্যায়ন করেন।’
একাধিকবার বাংলাদেশে এসেছেন জানিয়ে আবীর বলেন, ‘যতবার গিয়েছি সেই আতিথেয়তা একদম ভোলার নয়।’
সবশেষে শুভর কাছে বিচারক রাঘব চ্যাটার্জী ও মনোময় ভট্টাচার্য্য পদ্মার ইলিশের প্রশংসা করে তা খাওয়ানোর আবদার করেন।
তবে ছুটির পর সবার আবদার পূরণ করবেন বলে জানান চট্টগ্রামের ছেলে শুভ।
সারেগামাপার ওই পর্বে বিচারক হিসেবে ছিলেন শ্রীকান্ত আচার্য, রাঘব চ্যাটার্জী, মনোময় ভট্টাচার্য্য, শান্তনু মৈত্র, রিচা শর্মা, ইমন চক্রবর্তী এবং অতিথি হিসেবে ছিলেন ভারতের বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী অমিত কুমার। আরও ছিলেন পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্ত পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী।
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় জন্ম নেওয়া শুভ দাশ মায়ের কাছ থেকে গানের প্রাথমিক শিক্ষা পান। ছোটবেলা থেকেই গান করেছেন দেশের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে।
সঙ্গীতের সঙ্গে তার পথচলা শুরু ছয় বছর বয়সে। প্রথমে মা আন্না দাশের কাছে হাতেখড়ি। এরপর ২০০৯ সালে চট্টগ্রামের প্রখ্যাত উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতজ্ঞ পণ্ডিত স্বর্ণময় চক্রবর্তীর কাছে শাস্ত্রীয় সঙ্গীতে তালিম নেন।
বর্তমানে কলকাতার বিখ্যাত সঙ্গীত পরিচালক ও কণ্ঠশিল্পী গৌতম ঘোষালের কাছে সঙ্গীতের শিখছেন। বাংলাদেশ টেলিভিশন ঢাকা কেন্দ্রের একজন নিয়মিত শিল্পী শুভ। এছাড়াও বাংলাদেশের বিভিন্ন বেসরকারি টিভি চ্যানেলে গান গাইবার ডাক পড়ে তার। ইউটিউবে ‘Shuvo Das’ নামে একটি চ্যানেল রয়েছে তার।
গানের পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন লেখাপড়াও। চট্টগ্রামের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের স্নাতকোত্তরের ছাত্র তিনি।
বিএস/ডিজে