চট্টগ্রামের করোনা গ্রাফে স্বস্তির রেখা, চাপ কমেছে হাসপাতালেও

চট্টগ্রামে গত ২৪ ঘন্টায় করোনা শনাক্তের পরিমাণ এতো কমেছে যে, অনেকেই এ থেকে মহামারি মুক্তির আশা খুঁজে পাচ্ছেন। সোমবার (১৫ আগস্ট) সারাদিনে করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছেন মাত্র ২৩০ জন। শেষ কবে এতো শনাক্তের পরিমাণ এতো কম ছিল— সেটাও রীতিমতো অনুসন্ধানের বিষয়।

অবশ্য এই ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষাও হয়েছে কম। আগের দুই দিন যেখানে ২৩০০ এর বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, সেখানে এই ২৪ ঘন্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে মোটে ১৭৮৩টি। তবে এই পরীক্ষা কমার কারণটাকে ইতিবাচক পরিবর্তনই বলছেন করোনা টেস্ট সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, টেস্ট করাতে আসা মানুষের চাপ কমায় নমুনা পরীক্ষা কম হচ্ছে।

এছাড়া যা নমুনা পরীক্ষা হয়েছে তার মধ্যে করোনা শনাক্তের হারও অনেক কমেছে এই দিনে। সোমবার মোট পরীক্ষার বিপরীতে করোনা পজিটিভ শনাক্তের হার ছিল মাত্র ১২.৯০ শতাংশ। অর্থাৎ প্রতি ১০০ নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্তান্ত পাওয়া গেছে মোটামুটি ১৩ জন করে।

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) মধ্যরাতে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোমবার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া ২৩০ জনের মধ্যে ১৬৪ জন নগরের আর ৬৭ জন বিভিন্ন উপজেলার। এই সময়ে মারা গেছেন ৭ জন যাদের ৫ জনই বিভিন্ন উপজেলার।

এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ৯৫ হাজার ৪৪ জনে। যার মধ্যে ৬৮ হাজার ৭৭৫ জন নগরের এবং ২৫ হাজার ২৬৯ জন বিভিন্ন উপজেলার।

অন্যদিকে গত ২৪ ঘন্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া ৭ জন সহ চট্টগ্রামে করোনায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১১২৮ জনে। যার মধ্যে ৬৪৯ জন নগরের ও ৪৭৯ জন উপজেলার।

করোনার নমুনা পরীক্ষার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে নগরের অন্যতম করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র বিআইটিআইডির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘মানুষের টেস্ট করতে আসার পরিমাণ কমেছে। এমন না যে কিট কম থাকায় বা অন্য কারণে টেস্ট কম হচ্ছে। আগে যেখানে বিশাল লাইন থাকতো সেখানে এখন লাইনে ৩০-৪০ জন থাকে। শনাক্তের হারও কমেছে। এটাকে ইতিবাচক বলেই মনে হচ্ছে। পরিস্থিতির অনেকটা উন্নতি হয়েছে বলেই আমাদের ধারণা। আরও দুয়েকদিন পার হলে আরও ভালভাবে বোঝা যাবে।’

শুধু করোনা টেস্টের ল্যাব নয় হাসপাতাল থেকেও পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে— এমন পরিসংখ্যান পাওয়া যাচ্ছে। চট্টগ্রাম আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে গত ২৪ ঘন্টায় রোগী ভর্তি হয়েছেন অল্প কয়েকজন। অন্যদিকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাসায় ফিরেছেন ২২ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালটিতে আইসোলেশন ওয়ার্ড তো বটেই শয্যা খালি আছে আইসিইউ ওয়ার্ডেও।

হাসপাতাল থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী এই মুহূর্তে জেনারেল হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রোগী আছে ১৭০ জন। অথচ দুদিন আগেও যা ছিল ১৮১। অন্যদিকে আইসিইউতে ১৭ শয্যার বিপরীতে রোগী ভর্তি আছে ১৬টি শয্যায়।

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!