চট্টগ্রামের আরও তিনজন যুবলীগের কমিটিতে, সবমিলিয়ে ৯

আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সদ্য ঘোষিত কেন্দ্রীয় কমিটিতে চট্টগ্রামের আরও দুই সন্তান নির্বাহী সদস্য এবং একজন সম্পাদকীয় পদে মনোনীত হয়েছেন।

এরা হলেন— কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য মো. মোনায়েম খান এবং চন্দনাইশের গাছবাড়িয়া কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ। অন্যদিকে দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য ও পটিয়া উপজেলা যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান যুবলীগের নতুন কমিটিতে উপ-ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

শনিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় যুবলীগের ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি। নতুন এই কমিটিতে স্থান পেয়েছেন চট্টগ্রামের আরও ছয় নেতা। এদের মধ্যে তিনজন যুবলীগের গত কেন্দ্রীয় কমিটিতেও ছিলেন।

মো. মোনায়েম খানের বাড়ি চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নে। অন্যদিকে আবুল কালাম আজাদ নব্বইয়ের দশক থেকে চট্টগ্রামের ছাত্র রাজনীতিতে জড়িত থাকলেও বর্তমানে ঢাকাভিত্তিক রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।

চট্টগ্রামের পটিয়ার সন্তান যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক বদিউল আলম নতুন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

সিটি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক আবু মুনির মো. শহীদুল হক রাসেল নতুন কমিটিতে সাংগঠনিক সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ কৃষি ও সমবায় সম্পাদক মীর মো. মহিউদ্দিন নতুন কমিটিতে পেয়েছেন তথ্য ও গবেষণা সম্পাদকের পদ।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসভাপতি আদিত্য নন্দী নতুন কমিটির উপ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ও সাতকানিয়া পৌর আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন মিন্টু যুবলীগের নতুন কমিটিতে সহ-সম্পাদক মনোনীত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট নতুন কমিটিতে নির্বাহী সদস্য পদে স্থান পেয়েছেন।

এছাড়া কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনজুর আলম শাহিন নতুন কমিটিতে প্রেসিডিয়াম সদস্য মনোনীত হয়েছেন।

অন্যদিকে নতুন কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কয়েকজন সংসদ সদস্য, সাবেক ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন জেলা থেকে ওঠে এসেছে নতুন মুখ, সিসি কমিটির সদস্য ও সাবেক কমিটির বেশ কয়েকজন। কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন কয়েকজন সাংবাদিকও।

নতুন কমিটিতে বাদ পড়েছেন যুবলীগের গত কমিটির বিতর্কিত নেতারা। পাশাপাশি বয়স ৫৫ বছরের বেশি হওয়ায় বাদ পড়েছেন ৭০ জনের বেশি।

এর আগে ২০১৯ সালের ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে সংগঠনটির সভাপতি পদে আসেন শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে আসেন মাঈনুল হোসেন খান নিখিল।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!