চট্টগ্রামের আইনজীবী মারা গেলেন আপন দুই ভাইয়ের নির্দয় নির্যাতনে

চট্টগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের এক আইনজীবী আপন দুই সহোদর ও ভাইয়ের স্ত্রীর নির্মম নির্যাতনে গুরুতর আহত হওয়ার ২০ দিন পর চট্টগ্রামের হাসপাতালে মারা গেলেন।

গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাঙামাটির কাউখালীর নিজ বাড়িতে ঝন্টু কুমার নাথ (৩৫) নামের ওই আইনজীবীকে তার শয়নকক্ষে ঢুকে দরজা লাগিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন তার দুই সহোদর ও ভাইয়ের স্ত্রী। এই ঘটনায় গুরুতর আহত ঝন্টু নাথ টানা ২০ দিন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) মারা যান।

ঝন্টু কুমার দাশের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালানোর দায়ে অভিযুক্ত এই তিনজন হলেন— তার দুই ভাই নেপাল কান্তি নাথ (৪৫), দিলীপ নাথ (৩৮) এবং দিলীপের স্ত্রী রিপা নাথ (৩২)।

জানা গেছে, পূর্ব বিরোধের জের ধরে গত ২২ আগস্ট রাত সাড়ে ১০ টার দিকে ঝন্টু কুমার নাথের শয়নকক্ষে ঢুকে নেপাল, দিলীপ ও রিপা নাথ মিলে তার রুমের দরজা বন্ধ করে দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে তাকে। এ সময় ঝন্টুর স্ত্রী রমাশ্রী দেবী রান্না ঘরে ছিলেন। পরে স্বামীর চিৎকার শুনে এগিয়ে এলেও ভেতর থেকে দরজা বন্ধ থাকায় বাইরে দাঁড়িয়েই অসহায়ের মত চিৎকার-চেচামেচি করতে হয়েছে তাকে। পরে তারা চলে গেলে ঝন্টু কুমার নাথকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। দীর্ঘ ২০ দিন চমেক হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে গত বৃহস্পতিবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে মারা যান ঝন্টু নাথ।

ঝন্টুর মৃত্যুর বিষয়টি চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জজ কোর্টের আরেক আইনজীবী স্বরূপ রায়।

এদিকে ঝন্টুর ওপর হামলার পর গত ২৮ আগস্ট ঝন্টুর স্ত্রী রমাশ্রী দেবী বাদী হয়ে তার দুই দাদা ও বৌদিকে আসামি করে রাঙামাটির কাউখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।

এই বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কাউখালী থানার উপ পরিদর্শক চয়ন দে চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘ঘটনার পরপরই তারা গা ঢাকা দিয়েছে। তবে ঝন্টু কুমার নাথ মারা যাওয়ায় আগের মামলাটা হত্যামামলায় পরিণত হবে। এক্ষেত্রে আইনি প্রক্রিয়াগুলো এগিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি আসামিদের গ্রেপ্তারেও আমরা অভিযান অব্যাহত রাখবো।’

এআরটি/সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm