চট্টগ্রামের অলিগলিতে আরও ৫০ হাজার গর্ত খুঁড়বে ওয়াসা
চট্টগ্রাম নগরীতে চলতি বছরে শেষ হচ্ছে না ওয়াসার সংস্কার কাজ। নগরবাসীর কপালের ভাঁজ আরও বাড়িয়ে আগামী বছর নগরের অলিগলিতে ৫০ হাজার সার্ভিস কানেকশনের জন্য আরও ৫০ হাজার গর্ত খুঁড়বে বলে জানিয়েছে ওয়াসা। ফলে মুজিববর্ষে সড়ক খোঁড়াখুঁড়ি না করার জন্য চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের (চসিক) মেয়রের ঘোষিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন না হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
ওয়াসা সূত্র জানিয়েছে, চসিকের সাথে আলাপ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান সংস্কার কাজগুলো শেষ করে সড়কগুলো পর্যায়ক্রমে চসিককে বুঝিয়ে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে ওয়াসা। আগামী বছরেও চসিকের সাথে সমন্বয় করে সংস্কার কাজ চালিয়ে নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) হালিশহর আই ব্লক ও আগ্রাবাদে কাজ শেষ হয়েছে। এগুলো শেষ হলে সিটি কর্পোরেশনের সাথে আলাপ করে অন্য দুটি সড়কে সংস্কার কাজ শেষ করবে। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চলমান সংস্কার কাজগুলো শেষ করলেও তা কোনভাবেই ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব হবে না। সুতরাং জানুয়ারি থেকে সড়কে খনন কাজ বন্ধ রাখার সুযোগ নেই বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
আগামী বছর চকবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত ১৩টি পয়েন্টে ইন্টার কানেকশনের কাজ শেষ করে ১২ কিলোমিটার সড়কে নতুন করে পাইপ বসানোর কাজ করবে ওয়াসা। এর বাইরে বাকি সময়ে অলিগলিতে সার্ভিস কানেকশন দিতে কাজ করা হবে। প্রায় ৫০ হাজার সার্ভিস কানেকশন দেয়ার জন্য অলিগলিতে ৫০ হাজার গর্ত খোঁড়া হবে।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সব সংস্থার প্রজেক্টের ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট টাইম ফ্রেম থাকে। এই সময়ের মধ্যেই কাজ শেষ করতে হয়। টাকাও বরাদ্দ দেওয়া থাকে ওই টাইম ফ্রেম অনুযায়ী। এখন যেসব কাজ চলছে তা ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ করা সম্ভব না। ৬০০ কিলোমিটার পাইপ তো রাতারাতি বসানো সম্ভব নয়। তাছাড়া আমাদের কাজ শেষ করতে হবে ২০২১ সালের মধ্যে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাজ খুব বেশি বাকি নেই। চকবাজার থেকে পতেঙ্গা পর্যন্ত কয়েকটি পয়েন্টে ইন্টার কানেকশনের কাজ করবো। এরপর পর্যায়ক্রমে ১২ কিলোমিটার সড়কে পাইপ বসাবো। বাকি সময়ে আমরা অলি গলিসহ বাসাবাড়িতে সার্ভিস কানেকশন দেবো ৫০ হাজার। প্রতি কানেকশনের জন্য একটা করে গর্ত খুঁড়তে হবে।’
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সাল থেকে চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় ১৬০ কিলোমিটার সড়কে পাইপ বসানোর কাজ শুরু করে ওয়াসা। পরে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় আরও ৬৫০ কিলোমিটার পাইপ বসানোর কাজ শুরু হবে। ২০২০ ও ২০২১ সাল পর্যন্ত মেয়াদ থাকা এই দুটি প্রকল্পের কাজে পুরো নগরে ব্যাপক দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়।
এসএ/সিপি