জুলাইয়ে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর উন্মুক্ত প্রাঙ্গনে আয়োজিত হল অভিনব এক প্রদর্শনী। ব্যস্ত সড়কের পাশে ফুটপাতে প্রদর্শিত ভিডিওচিত্র মন কেড়েছে পথচারী-দর্শকদের। মাসচারেক আগের মর্মস্পর্শী সব ঘটনাবলী দেখতে দেখতে দর্শক যেন ফিরে গিয়েছিল উত্তাল সেই দিনগুলোতে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম নগরীর জামালখান মোড়ে ‘দ্রোহ-কান্নার জুলাই’ শিরোনামে প্রদর্শনীটির আয়োজন করে স্টোরিটেলিং প্ল্যাটফর্ম ‘ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজ’। বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের তৈরি আন্দোলনভিত্তিক কিছু প্রামাণ্যচিত্রও সেখানে দেখানো হয়। আয়োজনে কারিগরি সহায়তা দেয় গণযোগাযোগ অধিদপ্তর।
আয়োজকরা আগেই জানিয়েছিলেন, জাতীয় জীবনে জুলাই বিপ্লবকে ধরে রাখতে হলে সেই বিপ্লবের গল্প বলে যেতে হবে। স্মৃতিতে রাখতে হবে কেমন বিভীষিকাময় ছিল আগের দুঃশাসন। যে আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন আমাদের বন্ধুরা, চোখ হারিয়েছেন আমাদের ভাইবোনেরা, সন্তান হারিয়েছেন মায়েরা— সেসব নিয়েই ‘দ্রোহ ও কান্নার গল্প’।
প্রদর্শনীর সূচনা হয় রংপুরে শহীদ হওয়া আবু সাঈদের গুলি খাওয়ার দৃশ্য দিয়ে। উত্তাল জুলাইজুড়ে ঘটা বিভিন্ন ঘটনাপ্রবাহ একেক করে ওঠে আসে বিভিন্ন দৃশ্যে। সেখানে যেমন উঠে এসেছে শিক্ষার্থীদের বুক উঁচিয়ে দাঁড়ানোর গল্প, তেমনি এসেছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের বর্বরতার চিত্র। কোটা সংস্কার থেকে সরকার পতনের দাবি পর্যন্ত ৩৬ দিনের আন্দোলনে তৈরি হওয়া নানা স্লোগানও স্থান করে নিয়েছে ভিডিওচিত্রে।
প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান। অতিথি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাব্বির ইকবাল। এ সময় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সার্চ কমিটির সদস্য এবং ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের পরিচালক সাইদ খান সাগর ছাড়াও বক্তব্য দেন ফেইল্ড ক্যামেরা স্টোরিজের সংগঠক আবু নাছের আলিফ, হিমাদ্রি দে, অহনা বড়ুয়া, ঋত্বিক বড়ুয়া প্রমুখ।
সিপি